This Article is From Mar 07, 2020

প্রার্থী কি কম পড়িয়াছে? ভোটে দাঁড়াতে ড্রপবাক্সে বায়োডাটা ফেলতে আবেদন বিজেপির

রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, দলের রাজ্য অফিস মুরলিধর সেন লেনের বাইরে একটা ড্রপ বাক্স রাখা। বিজেপির তরফে আবেদন, "নাগরিকরা সেই বাক্সে জীবনপঞ্জী বা বায়োডাটা ফেলে যান।"

প্রার্থী কি কম পড়িয়াছে? ভোটে দাঁড়াতে ড্রপবাক্সে বায়োডাটা ফেলতে আবেদন বিজেপির

রাহুল সিনহা বলেন, "অনেক নাগরিক বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হতে আগ্রহী। তাই আগামী কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে সেই আগ্রহী নাগরিকদের ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে চাই।" (ফাইল ছবি)

হাইলাইটস

  • "দলের রাজ্য অফিসের বাইরে রাখা ড্রপ বাক্স, ফেলে যান বায়োডাটা"
  • কলকাতা পুরনিগমের ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে আবেদন বিজেপির
  • সেই বায়োডাটা বাছাই করে ঘোষিত হবে যোগ্য প্রার্থীর নাম, জানান রাহুল সিনহা
কলকাতা:

প্রার্থী সঙ্কট না সাংগঠনিক দুর্বলতা? রাজ্য বিজেপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে এমন প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, দলের রাজ্য অফিস মুরলিধর সেন লেনের বাইরে একটা ড্রপ বাক্স (Drop Box at BJP Office) রাখা। বিজেপির তরফে আবেদন, "নাগরিকরা সেই বাক্সে জীবনপঞ্জী বা বায়োডাটা (Bio data) ফেলে যান।" সেই বায়োডাটা বাছাই করে আগামী কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী ঘোষণা করবে বিজেপি। দলের টিকিটে পুরনিগম নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নাগরিকদের অবিলম্বে সেই ড্রপ বাক্স ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। আর গেরুয়া শিবিরের এই উদ্যোগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, তবে কি প্রার্থী কম পড়িয়াছে? এদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, "অনেক নাগরিক বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হতে আগ্রহী। তাই আগামী কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে সেই আগ্রহী নাগরিকদের ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে চাই। আমরা দলীয় কার্যালয়ের বাইরে ড্রপ বক্স রেখেছি। সেই বক্সে বায়োডাটা ফেলে যেতে পারেন উৎসাহী নাগরিকরা। তাঁদের রাজনৈতিক কর্মী না হলেও চলবে। শুধু স্থানীয় এলাকায় জনপ্রিয়তা ও ভালো ভাবমূর্তি থাকা আবশ্যিক।"

ইয়েস ব্যাংক সঙ্কটে এসবিআইয়ের অধিগ্রহণ সিদ্ধান্ত পরিকল্পনাহীন: পি চিদাম্বরম

রাহুল সিনহা পিটিআইকে আরও বলেন, "অরাজনৈতিক কর্মী, যারা বিজেপির টিকিটে নির্বাচন লড়তে আগ্রহী, তাঁরা জানেন না পদ্ধতি কী? কার সঙ্গে যোগাযোগ করে, কী ভাবে মনোনয়ন দাখিল করতে হয়। আগ্রহী সেই সব নাগরিকদের আমরা একটা সুযোগ করে দিচ্ছি। প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিজেপি, এভাবেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে চাইছে।" তার দাবি, "আগামী আরও চার-পাঁচ দিন দলীয় কার্যালয়ের বাইরে থাকবে সেই ড্রপ বাক্স। এখনও যেহেতু বাক্স খোলা হয়নি, তাই কতজন জীবনপঞ্জী ফেলেছেন, তার হিসেব নেই। সঠিক সময়ে সেই বায়োডাটা ঝাড়াই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে।"

নির্ভয়া মামলার আসামি মুকেশ সিংয়ের নয়া চাল, ফাঁসি রুখতে আইনজীবীর বাহানা!

বিজেপির কেন্দ্রীয় ওই নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল জেলার পুরভোটেও কী একই পথে হাঁটবে দল? জবাবে রাহুল সিনহা বলেছেন, না এই পদ্ধতি কেবল কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য। জেলার ভোটে প্রার্থী হতে গেলে দলের সংশ্লিষ্ট জেলা দফতরে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এদিকে জানা গিয়েছে, দোল-হোলি মিটলে সর্বদলীয় বৈঠকে বসবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রতিটা রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব বিবেচনা করে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে পুরভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারে কমিশন। ইতিমধ্যে ব্যালটে ভোট চেয়ে পৃথকভাবে কমিশনে দরবার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি এক দফায় রাজ্যের ১০৭টি পুরসভায় ভোট করাতে কমিশনে তদ্বির বামেদের। ইঙ্গিত, এপ্রিলের মাঝ সপ্তাহ বা শেষের দিকে আয়োজিত হতে পারে এ রাজ্যের পুরভোট।      



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.