কলকাতা: অবশেষে রাজ্যপাল জগদীপ ধানকর ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ হল। এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধানকরের সঙ্গে এক ঘন্টারও বেশি সময়ে ধরে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতি লোকসভা ভোটের পর থেকে বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের অত্যাচারে তাদের কর্মী, সমর্থকরা ঘরছাড়া। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক খুন-ও হয় ওই সময়ে। এই পরিস্থিতিতে দিন দশেক আগেই সাংবিধানিক পদের দায়িত্ব নিয়ে রাজভবনে এসেছেন ধানকর। তাই রাজ্যের অবস্থা নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, এটা তাদের মধ্যে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ'। জানা গিয়েছে, মমতা ধানকার সাক্ষাতে বেশ কিছুক্ষণের জন্য অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যপালের স্ত্রী।
শহরে এলেন রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর
গত ৩০ জুলাই বাংলার নবতম রাজ্যপাল হিসাবে এদিন শপথ নেন জগদীপ ধানকর। রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি ডিবি রাধাকৃষ্ণণ। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের নেতৃত্ব ও রাজ্যের বিশিষ্টজনেরা।
২৪ জুলাই রাজ্যপাল হিসাবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর। সেই মাসের শেষ সপ্তাহেই বাংলার ২৮ তম রাজ্যপাল হিসাবে কেন্দ্র জগদীপ ধানকরের নাম জানায়। তিনি সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী। জাঠেদের ওবিসি সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনের সময়ে দিল্লিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এছাড়া, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জনতা দলের টিকিটে লোকসভায় সাংসদ নির্বাচিত হন ধানকর। বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের জমানায় সংসদীয় প্রতিমন্ত্রীও হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে যোগ দেন বিজেপিতে।
রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, শপথগ্রহণ ৩০ জুলাই
তবে, রাজ্যপাল হিসাবে ধানকরের নাম ঘোষণা পর্বের পরেই বিতর্ক দানা বাঁধে। মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পারেন সংবাদ মাধ্যম থেকে। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোনে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন রাজ্যপালের নাম জানান। সেই সময়ই জগদীপ ধানকরকে রাজ্যপাল হিসাবে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।