কলকাতা: সম্প্রতি কংগ্রেসের হাত ছেড়ে জোড়াফুলে আস্থা রেখে দলবদল করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। দলবদলের পরেই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্যকে ঘিরে বিধানসভায় যুযুধান হয়ে ওঠে কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুই দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee) উপস্থিতিতেই বাদানুবাদে উত্তপ্ত হয়ে পরিস্থিতি। বিধায়কদের শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেই! শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর (state Transport minister Suvendu Adhikari) একটি মন্তব্য ঘিরে কংগ্রেস বিধায়ক ও তৃণমূলের বিধায়কদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়, যে যার আসন ছেড়ে নেমে এসে মুখোমুখি খণ্ডযুদ্ধে মেতে ওঠেন প্রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অবশেষে শান্ত হন দুই দলের নেতারা।
সমালোচনার সময় নয়, বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক রাজ্যে (Congress MLA Pratima Rajak) পরিবহন নিগমে চালক ও কন্ডাক্টর নিয়োগ বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের পরেই ক্ষিপ্র হয়ে ওঠেন মন্ত্রী! শুভেন্দু কক্ষে উপস্থিত কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমাকে তাঁর অভিযোগ প্রমাণ করতে বলেন আর একান্তই প্রমাণ না করতে পারলে সকলের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেন। কেবল পরিবহন মন্ত্রী নয়, শুভেন্দু অধিকারী কংগ্রেসের দুর্গ মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকও (TMC''s observer) । তিনি বলেন, আগামী দিনগুলিতে মুর্শিদাবাদ থেকে কংগ্রেসের বাকি বিধায়করাও তৃণমূলেই যোগ দেবেন এবং কংগ্রেসের টিকিটে কোনও বিধায়কই ওই জেলা থেকে আর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জিততেও পারবেন না।
এনআরসি নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস
মন্ত্রীর এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেস বিধায়করা ক্ষুব্ধ। তাঁদের কথায়, কোনও বিধায়কের থেকে ক্ষমা চাওয়ার কোন অধিকার নেই শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি এই জাতীয় আপত্তিজনক মন্তব্য করতেই পারেন না যে সমস্ত কংগ্রেস বিধায়করা আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। মন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কংগ্রেস বিধায়করা প্রতিবাদে নামেন। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় নিজের আসন ছেড়ে প্রতিবাদ জানাতে ছুটে যান শুভেন্দু অধিকারীর আসনের দিকে। এরপরে তৃণমূল বিধায়করাও পালটা প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন, কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল নেতারা।
বিরোধী এই দুই যুযুধান দলকে থামাতে ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গেল স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই উত্তেজনার সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসন ছেড়ে নেমে এসে নিজের দল এবং কংগ্রেস দলের বিধায়কদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের বিধায়কদের তিরস্কার করেন এবং কংগ্রেস বিধায়কদের নিজেদের আসনে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী সহ বিধায়কদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান, যাতে প্রশ্নোত্তর পর্বে সকলেই নিজেদের আচরণে সংযত থাকেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)