বাঘ সংরক্ষণে ৪০ হাজার কিলোমিটার বাইক সওয়ার
নাগপুর: দিনে দিনে বাঘের বংশ প্রায় নির্বংশ হওয়ার পথে। তাই বাঘ না মেরে (tiger protection) তাকে অভয়ারণ্যের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বাইকে সওয়ারি (motorcycle journey) হয়ে পথে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের রথীন্দ্রনাথ দাস ও স্ত্রী গীতাঞ্জলি (Ratindranath Das and his wife Gitanjali)। মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদের সাতপুরা অভয়ারণ্যে যাওয়ার সময় পথের মাঝে এক গ্রামের গাছতলায় বিশ্রাম নিতে বসেছিলেন তাঁরা্। তাই দেখে স্থানীয় এক নাবালক তাঁদের ছেলেধরা বলে সন্দেহ করে। খবর পৌঁছে যায় গ্রামপ্রধানদের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে দম্পতিকে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় তাঁদের। অনেক বোঝানোর পর সবাই বুঝতে পারেন, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই পথে নেমেছেন রথীন্দ্রনাথ-গীতাঞ্জলি। এরপরেই সসম্মানে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বন্যায় ভেসেছে কাজিরাঙা, প্রাণ বাঁচাতে গেরস্থের বাড়িতে আশ্রয় খুঁজল বন্যাদুর্গত বাঘ!
শনিবার তাঁরা পৌঁছোন মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ( Maharashtra''s Nagpur)। সাক্ষাৎকারে দম্পতি জানিয়েছেন, ৪০ হাজার কিলোমিটার (40000-kilometre) বাইক সওয়ারি করে তাঁরা পৌঁছোবেন দেশের ২২টি অভয়ারণ্যে। দেখা করবেন বন দফতর এবং বনের ধারে যাঁরা বসতি গড়েছেন তাঁদের সঙ্গে। সবার কাছেই থাকবে তাঁদের একটাই আর্জি, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ করুন। হারিয়ে যেতে দেবেন না দেশের গর্ব রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সহ সমস্ত শ্রেণির বাঘেদের।
বাঘের হামলায় মৃত্যু কাঁকড়া শিকারির, নিখোঁজ আরও এক মহিলা
শনিবারে মহারাষ্ট্রকে ছোঁয়ার পর এবার দম্পতির গন্তব্য গোয়া। সেখান থেকে তাঁরা যাবেন দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য অভয়ারণ্যে। তাঁদের এই মানসিকতাকে উৎসাহ জানিয়ে এগিয়ে এসেছেন ৮০ জন ফেসবুক বন্ধু। তাঁরা স্পনসর করেছেন এই যাত্রার। বাকিটা তাঁরা জোগাড় করছেন ুথচলতি সাধারণ মানুষের থেকে। দাস দম্পতির ইচ্ছে, এই যাত্রা সফল হলে আগামী বছরে ১২টি দেশ ঘুরবেন তাঁরা। একই বার্তা নিয়ে। সেই যাত্রা সম্ভবত শুরু হবে ২০২০-র মার্চে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)