বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পদযাত্রা
হাইলাইটস
- অনশনের ১৩ দিনের মাথায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বিষয়ে পদক্ষেপ করল সরকার
- গ্রেড পে বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হল সরকারের তরফে
- প্রস্তাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় শিক্ষকরা তাঁদের অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান
কলকাতা: অনশনের ১৩ দিনের মাথায় প্রাথমিক শিক্ষকদের (Primary Teacher) বিষয়ে পদক্ষেপ করল তৃণমূল (TMC) সরকার। গ্রেড পে (Grade Pay) বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হল সরকারের তরফে। কিন্তু এই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় শিক্ষকরা তাঁদের অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সরকার গ্রেড পে ২,৬০০-২,৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩,৬০০ টাকা করতে রাজি হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তৃমমূল কংগ্রেস অনুমোদিত ‘প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন'-এর সঙ্গে একটি বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী একথা জানান। এছাড়াও তিনি অনশন তুলে নেওয়ারও আর্জি জানান। অনশনরত শিক্ষকরা অবশ্য দাবি জানিয়েছেন ৪,২০০ টাকা গ্রেড পে করার কথা। ‘উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'-এর তরফে অনশনরত শিক্ষকরা ওই দাবি জানান।
তাঁদের বক্তব্য গ্রেড পে ৪,২০০ টাকা করা হলে তাঁদের মাসিক বেতনের মাত্রা ৯,৩০০-৩৪,৮০০ টাকার মধ্যে থাকবে। কিন্তু ৩,৬০০ টাকা গ্রেড পে হলে বেতনক্রম মাসে ৫,৪০০ থেকে ২৫,২০০ টাকার মধ্যে থাকবে বলে শিক্ষা দফতর জানিয়েছে।
নির্বাচনে সরকারি টাকার ব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা গ্রেড পে বাড়িয়ে ৩,৬০০ টাকা করে দিতে প্রস্তুত এবং অর্থ দফতরকে জানিয়ে দিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব এই বৃদ্ধিকে কার্যকর করতে। প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষকদের সময় অনুযায়ী পদ্দোনতি হবে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে।''
আমি দীর্ঘদিন ধরেই এটা বলে আসছি, বিশিষ্টদের চিঠি নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
অনশনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দেশের অন্যত্র তাঁদের বেতনক্রম মাসিক ৯,৩০০ টাকা থেকে ৩৪,৮০০ টাকার মধ্যে থাকে।
তাঁদের মুখপাত্র পৃথা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা এই পরিস্থিতিতে অনশন তুলতে পারব না। সরকার দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দাবি মানতে রাজি নয়।''
তিনি বলেন, অনেক সংগঠনের মানুষই তাঁদের অনশন মঞ্চে এসেছেন তাঁদের সমর্থন জানাতে। এবং তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত নন।
তবে শিক্ষামন্ত্রী দাবি জানিয়েছেন, বিরোধী দলের নেতারা প্রাথমিক শিক্ষকদের উন্নতির জন্য কখনও কোনও কাজ না করলেও এখন তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। অনশনরত শিক্ষকদের সাবধান করে দিয়ে পার্থবাবু বলেন, তাঁরা যেন অন্য রাজনৈতিক দলের দ্বারা ব্যবহৃত না হন।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা যেন অনশন তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেন। শিশুদের পড়াশোনারও এতে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার অনশনরত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে কোনও পদক্ষেপ করতে।