ইসলামপুরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির ডাকা বারো ঘণ্টার বাংলা বনধের দিন রাজ্যকে সচল রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নবান্নে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বুধবারের বনধের প্রভাব পড়বে না। তার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব কিছু যাতে স্বাভাবিক থাকে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারি পরিবহণের মতো বেসরকারি পরিবহণ যাতে স্বাভাবিক থাকে তা দেখা হচ্ছে। এদিন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসে মন্ত্রিগোষ্ঠী। এই প্রথম নয় এর আগেও বনধ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আর তাই কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধের দিনও রাজ্য স্বাভাবিক ছিল।
এবারও সেই চেষ্টাই হচ্ছে। ওই দিন বনধ উপেক্ষা করেই রাস্তায় নামতে হবে সরকারি কর্মীদের। কোনও কারণে আসতে না পারলে অনুপস্থিতির কারণ দেখাতে হবে। সেটাও না পারলে কর্মজীবন থেকে ওই দিনটি বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি দোকান থেকে শুরু করে বাজারও যাতে খুলে রাখা যায় তার চেষ্টা করছে প্রশাসন। সরকারের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনকর দোকান বাজার খুলে রাখতে বলা হয়েছে। বনধের দিন বেসরকারি বাস যাতে রাস্তায় নামে তার জন্য মালিক সংগঠন গুলির সঙ্গে আলোচনা করেছেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিকে উদ্দেশ করে পার্থ এদিন বলেন, ‘ওরা হয় আদালতে গিয়ে নয় বনধ করে রাজ্যটাকে পিছিয়ে দিতে চাইছে।’ এদিকে বিজেপির ডাকা রাজ্য বনধ প্রত্যাহারের দাবি জানাল অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি ফোরাম। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্যের এজলাসে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানান। তাঁর দাবি বনধ ডেকে এভাবে কাউকে নিজের কাজে যোগ দেওয়া থেকে আটকানো যায় না। আবেদন জমা পড়ার পর প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি অরিজিৎ বদোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন কাল এই মামলার শুনানি হবে।