গত ১৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার রিপোর্ট পেয়েছে এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে।
ষষ্ঠ পে কমিশনের (Sixth Pay commission) সুপারিশ মেনে নিল রাজ্য সরকার। সোমবার ওই সুপারিশে (Pay commission) সিলমোহর মেরে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিল আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হবে নয়া বেতনক্রম। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কমিশনের সুপারিশকৃত অঙ্কের থেকেও বেতন বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। একথা জানিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়ে দিলেন কোনও এরিয়ার দেওয়া হবে না। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘‘মন্ত্রিসভা আজ পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নিয়েছে। এবং এটি কার্যকরী হবে ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে। রাজ্য সরকার তার কর্মীদের ২০১৬ সাল থেকে ধারণাগত প্রভাব হিসেব করে বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছে।''
ডিএ-র সঙ্গে বেসিক পে ও গ্রেড পে যুক্ত করা হল। অর্থমন্ত্রী বলেন, এর ফলে যাঁর বেসিক পে ছিল ১০০ টাকা, তা বেড়ে হল ২৮০.৯০ টাকা। তবে এক প্রশ্নের উত্তরে অমিত মিত্র জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার কোনও এরিয়ার দেবে না।
রোজভ্যালিকাণ্ডে সিবিআইয়ের ডাকে হাজিরায় ব্যর্থ রাজীব কুমার
গ্র্যাচুইটি ৬ লক্ষ থেকে টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করা হল। ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ থেকেও ২ লক্ষ টাকা বেশি।
বাড়িভাড়ার ভাতা ৬,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২,০০০ টাকা করা হল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। কমিশন সুপারিশ করেছিল অঙ্কটা হোক ১০,৫০০ টাকা। একথা জানান অর্থমন্ত্রী।
এই পে প্যানেলের সুপারিশ মেনে নেওয়ার ফলে তা বাবদ বার্ষিক ১০,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্য সরকারের, জানিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরের এক সূত্র।
বাংলায় এনআরসি নিয়ে ভীতি তৈরির জন্য বিজেপিকে ধিক্কার, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতনক্রম পর্যালোচনার জন্য ষষ্ঠ পে কমিশন গঠিত হয়েছিল ২৭ নভেম্বর, ২০১৫-এ, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। অধ্যাপক অভীক সরকার ওই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন। ছ'মাসের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হলেও পরে তা ক্রমেই বাড়তে থাকে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার রিপোর্ট পেয়েছে এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে।
ভিডিও দেখুন p>
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)