This Article is From Jun 12, 2019

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল
কলকাতা:

রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshrinath Tripathi) এমনটাই খবর রাজভবন সূত্রে। রাজ্যের সমস্ত বড় দল দলকে চিঠি  দিয়ে ওইদিন বিকেল চারটেয় বৈঠকে হাজির থাকতে বলেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshrinath Tripathi), সূত্র  মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের তরফেই এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা ত্রিপাঠীর চিঠি পেয়েছি। আমরা আগামিকালের বৈঠকে যোগ দিতে পারি”। তবে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি পায় নি। তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “এমরা চিঠি পাই, তারপর এটা নিয়ে ভাবব”।

বিজেপির লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার: বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশের জলকামান, লাঠিচার্জ

লোকসভা ভোটের আবহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। দিন যতই এগিয়েছে সংঘাত তীব্রতর হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে। এমনকী, ভোটগ্রহণ পর্বেও অশান্ত হয়েছে  রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, প্রাণহানিও হয়েছে। ফলাফলের পরেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনাকে (Sandeshkhali clashes) কেন্দ্র করে পদ্ম ও ঘাসফুল শিবিরের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে।গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় তিনজনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট হাসপাতালে।সেখানেই দুজনকে তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করে বিজেপি, তৃতীয়জন তাদের কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস।নিহত তৃতীয় ব্যক্তি কায়ুম মোল্লা, তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব।  

সন্দেশখালির ঘটনায়(Sandeshkhali clashes) নিহত প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলের ভাঙ্গিপাড়ার বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় । অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে নিহতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। শনিবার সন্দেশখালির ঘটনায়(Sandeshkhali clashes) মৃত্যু হয় কায়ুম মোল্লা নামে এক যুবকের, তিনি তাদের দলীয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের কর্মীদের ওপর বিজেপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরও। সেই দফতর তাঁর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সরকার ফেলে দিতে পরিকল্পনা করে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে” বিজেপি।

.