বেতনবৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অনশনে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কলকাতা: অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো অনেকটাই কম। এবার তাই নিজেদের বেতন কাঠামো (pay scale) বাড়ানোর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অনশনের পথ বেছে নিতে হয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের (primary school teacher)। বৃহস্পতিবার তাঁদের এই অনশন পঞ্চম দিনে পড়ল। উস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন প্রথম এই আন্দোলনের (indefinite fast) সূচনা করে। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা জানায় অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাঁদেরও বেতন কাঠামো পরিবর্ধন করুক রাজ্য সরকার এই দাবিতেই অনশনে বসেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ওই সংগঠনের এক সদস্য সাংবাদিকদের জানান, যেখানে গোটা দেশের অন্যান্য রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকরা প্রায় বার্ষিক ৯,৩০০ থেকে ৩৪,৮০০ টাকা বেতন কাঠামোর সুবিধা পাচ্ছেন সেখানে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো বার্ষিক ৫,৪০০ থেকে ২৫,২০০ টাকা ।
২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসে কি বিশেষ পরামর্শক প্রশান্ত কিশোর? নির্বাচনী কৌশল নিয়ে চুপ তৃণমূল
পাশাপাশি ওই অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পৃথা বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি ১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের সুবিধা-অসুবিধার কথা না ভেবেই তাঁদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদ করে তাঁরা ওই ১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারেরও দাবি তুলেছেন।
এদিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন আগামী ২১ জুলাইয়ের পরেই বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। তবে, তিনি একথাও জানান যে, এই আন্দোলনের দোহাই দিয়ে কোনও শিক্ষক যেন তাঁদের ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত না থাকেন।
বিল গেটস আর বিশ্বের দ্বিতীয় সমৃদ্ধশালী ব্যক্তি নন! তাঁকে নামিয়ে উঠে এলেন কে?
যদিও প্রাথমিক শিক্ষকদের ওই সংগঠনের তরফ থেকে পৃথা বিশ্বাস জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না দিচ্ছে সরকার, ততক্ষণ পর্যন্ত সল্ট লেক এলাকায় বিকাশ ভবনের কাছে বলে ওই অনির্দিষ্টকালের অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। বিকাশ ভবন হল রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের সদর দফতর।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)