தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Aug 20, 2018

অন্ন বা বস্ত্র নয়, সাহায্য চাই কেরালাকে গড়ে তোলার জন্যঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় তিনশো মানুষ এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কেরালার এই ভয়াবহ বন্যায়। ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ 20 হাজার কোটি টাকারও বেশি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনশোর ওপর মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কুড়িহাজার কোটি টাকা।

তিরুঅনন্তপুরম:

কয়েকশো মানুষ এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন। গৃহহীন হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। বন্যাবিধ্বস্ত কেরালা প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উঠে দাঁড়িয়ে মাথা তোলার। উদ্ধারকারী দল অক্লান্ত পরিশ্রম করে চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকার্য। জল, খাদ্য, ওষুধ যাতে রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষের হাতে এসে পৌঁছায়, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার জন্যও। গোটা বিশ্ব থেকেই সাহায্য আসছে বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য। কিন্তু, তার মধ্যেও হঠকারী মন্তব্য করা থেকে বিরত হচ্ছেন না কেউ কেউ। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে জে অ্যালফন্স। তিনি পরিষ্কার বলে দিলেন, “কেরালাবাসীর এখন অন্ন বা বস্ত্রের তেমন প্রয়োজন নেই”। তাঁর মতে, রাজ্যের এখন সবথেকে বেশি করে দরকার কারিগরী সহায়তা। যাতে, রাজ্যটির পুনর্নিমাণ করা সম্ভব হয়।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় তিনশো মানুষ এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কেরালার এই ভয়াবহ বন্যায়। ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ 20 হাজার কোটি টাকারও বেশি। গত দু’সপ্তাহের অবিরল বর্ষণই এই ভয়ঙ্কর বন্যার জন্য দায়ী। এর আগে দক্ষিণের এই রাজ্যটি এমন বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল 1924 সালে। তিন সপ্তাহ ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে ভেসে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। কিন্তু, চুরানব্বই বছর আগের সেই বন্যার স্মৃতি স্বাভাবিক নিয়মেই কেরালাবাসীর মন থেকে মুছে গিয়েছিল। এই বন্যার মধ্য দিয়ে যা আবার ফিরে এলো।

“প্রধানমন্ত্রী কেরালার বন্যা পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি সমস্তরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যটিকে নতুন করে গড়ে তুলতে সবরকম সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। পাঁচশো কোটি টাকা সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। তারও আগে, রাজনাথ সিংহ এবং কিরেণ রিজ্জু অনুমোদন করে দিয়েছেন যথাক্রমে 100 কোটি এবং 80 কোটি টাকা। তাই অর্থটা অন্তত কোনও সমস্যাই নয়”, বলেন অ্যালফন্স।

Advertisement

এখনও ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রিত কয়েক লক্ষ মানুষ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই খাদ্য, বস্ত্র ও ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। মন্ত্রী বলেন, “আমাদের সত্যি বলতে খাদ্য বা বস্ত্রের ততটা প্রয়োজনই নেই এখন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেই যথেষ্ট খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে”।

Advertisement