নিউ দিল্লি: রাফাল (RAFALE) যুদ্ধবিমান নয়াদিল্লির প্রয়োজন, নিজেদের দেশকে পাকিস্তানি এফ ১৬ (F 16)-র মতো বিমানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, যা সম্প্রতি আমাদের আক্রমণ করেছে। ফ্রান্সের এই যুদ্ধবিমান সংস্থার সঙ্গে চুক্তিটিকে ক্লিনচিট দেওয়াকে পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখার জন্য যে মামলাটি চলছে, বুধবার প্রকাশ্য আদালতে সুপ্রিম কোর্টকে তা নিয়ে এই কথা জানান সরকারি আইনজীবী। সরকারি আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল রাও রীতিমতো তর্ক করে বলেন, "রাফাল (RAFALE) ছাড়া নিজেদের আমরা বাঁচাব কী করে?" তিনি আরও যোগ করেন, "আমাদের মিগ ২১ (MIG 21) দারুণ লড়াই করে পাকিস্তানের এফ ১৬ (F 16) বিমানকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ঠিকই। তবু, লড়াই করার জন্য আমাদের রাফালের (RAFALE) মতো যুদ্ধবিমান প্রয়োজন"। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ভোররাতে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনা আক্রমণ করার পরদিনই নিয়ন্ত্রণরেখার আকাশে তীব্র সামরিক রেষারেষি হয় দুই প্রতিবেশি দেশের বায়ুসেনার মধ্যে।
"প্রবল প্রয়োজনের জন্যই রাফাল নিয়ে সন্ধি শুরু হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ব্যাচটি সরবরাহ করার কথা। এছাড়া, ৫২ জন পাইলটকে ফ্রান্সে পাঠানো হবে ২-৩ মাসের প্রশিক্ষণের জন্যও", জানান বেণুগোপাল রাও।
প্রসঙ্গত, রাফাল চুক্তির সঙ্গে জড়িত নথিপত্র নথিপত্র চুরি করা হয়েছে এবং পিটিশনাররা সরকারি গোপন তথ্যসংক্রান্ত আইনটি ভঙ্গ করেছে কয়েকটি শ্রেণীবদ্ধ নথির ওপর নির্ভর করে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে এই কথা সাফ জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের কৌঁসুলি আজ আদালতে স্পষ্টভাবে জানান, “প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে এই নথিপত্রগুলি চুরি করা হয়েছে। চুরিতে সাহায্য করেছে ওই মন্ত্রকের প্রাক্তন অথবা বর্তমান কর্মচারীরা। এগুলো অত্যন্ত গোপন নথি এবং কোনওভাবেই প্রকাশ্যৈ আনা যেতে পারে না সেগুলিকে”। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, সরকার এর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা জানাক।
বাবর যা করে থাকতে পারেন তা বদলানোর সুযোগ নেই, অযোধ্যা মামলার শুনানিতে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
কেন্দ্র জানিয়েছে, “আমরা এখন তদন্ত করে দেখছি কীভাবে এই নথিপত্রগুলি চুরি করা হল”।
কেন্দ্রের কৌঁসুলি বলেন, “এটি অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ। আমরা প্রাথমিকভাবেই তাই এর বিরোধিতা করছি। তার কারণ হল, গোপন নথিকে পিটিশনের সঙ্গে কখনওই জুড়ে দেওয়া যায় না। তাই রিভিউ এবং জুরিদের কাছে পেশ করা পিটিশনটিও বাতিল করা উচিত”।