This Article is From Dec 29, 2019

Delhi Weather: প্রবল শৈত্য প্রবাহে দিল্লিতে জারি লাল সর্তকতা! দেশের আবহাওয়ার হাল কেমন?

উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লিতে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। অন্যদিকে পশ্চিম রাজস্থান এবং পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে।

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেশের রাজধানী দিল্লিতে

হাইলাইটস

  • লোধি রোডে অবজারভেটরিতে আজকের তাপমাত্রা দেখিয়েছে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
  • লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের তরফে
  • বায়ুর গুণগত মান নীচে নেমে তীব্র ক্যাটাগরিতে পৌঁছেছে দিল্লিতে
নয়াদিল্লি:

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেশের রাজধানী দিল্লিতে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জারি করা হল লাল সর্তকতা। সকালে লোধি রোডে তাপমাত্রা নেমে ছিল ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সফদর জঙ্গ অবজারভেটরিতে এই দশকের সব থেকে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল গতকাল। ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে দিল্লিতে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় বিমান এবং ট্রেন চলাচলে তার প্রভাব পড়েছে। "আমার ট্রেন ৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। যে ট্রেনটি আসার কথা ছিল ৪.২৫ মিনিটে এখন শুনছি সেটি আসবে রাত ৮.৩০ টায়। এদিকে আমাদের হোটেল থেকে চেকআউট সময় বেলা ১২ টায়। আমাদের অনেকটা অপেক্ষা করতে হবে," জানালেন ১৯ বছরের অদ্রিজা মন্ডল। দিল্লি থেকে রাজ্যে আসছেন তিনি।

Weather Update: ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা বাংলা, নতুন বছরে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

দিল্লি থেকে নয়ডা সংযোগকারী যে রাস্তা, সেখানে ঘন কুয়াশা ছিল আজ। "খুব সাবধানে গাড়ি চালিয়ে আসতে হয়েছে," বলেন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এক ব্যক্তি। আইএমডি জানিয়েছে আজ উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লিতে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। অন্যদিকে পশ্চিম রাজস্থান এবং পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। দেশের উত্তর-পূর্ব অংশেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। নাগাল্যান্ডে তুষারপাত হয়েছে এই সপ্তাহেই। গত তিনদিন ধরে অস্বাভাবিক শীত পড়েছে সে রাজ্যে।

এদিকে বায়ুর গুণগত মান দিল্লিতে  "তীব্র" ক্যাটেগরিতে পৌঁছেছে। যেখানে বায়ুর গুণগত মানের সূচক ভয়ঙ্কর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫। আধিকারিকরা জানিয়েছেন কম তাপমাত্রার সঙ্গে প্রচুর আর্দ্রতা এবং হাওয়ার গতিবেগ কম থাকায়, দূষণ কণাকে একত্রিত হতে সাহায্য করছে।

এই মাসের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার সম্ভাবনা । আর যদি তা থাকে, তাহলে ১৯৯৭ সালের পর থেকে এটাই সবথেকে শীতলতম ডিসেম্বর এবং ১৯০১ সালের পর দ্বিতীয় শীতলতম মাস হবে এটি। ১৯৯৭ সালে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.৩  ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯০১ থেকে ২০১৮ র মধ্যে মাত্র চার বারই ডিসেম্বরের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয় সমান না হলে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে ছিল।  ১৯১৯, ১৯২৯, ১৯৬১ এবং ১৯৯৭ এ অনুভব করা  গিয়েছিল তা।

প্রচন্ড ঠাণ্ডা এবং তার সঙ্গে বায়ুদূষণ সব মিলিয়ে ৩১ শে ডিসেম্বর থেকে ২ রা জানুয়ারির মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।১ লা  দোসরা জানুয়ারি শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে।
 

.