Weather Update Kolkata : ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ ঘন্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর
কলকাতা: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের উপর মঙ্গলবার যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল সেটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে কলকাতার ৯৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই গভীর নিম্নচাপটি। জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা এবং বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় এখন তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা তীব্র ঘূর্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়বে এই সমস্ত উপকূল অঞ্চলে। জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি সতর্কতা । ৯ এবং ১০ নভেম্বর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এই সমস্ত জায়গায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update Kolkata) তরফ থেকে জানানো হয়েছে সমুদ্রে, বিশেষ করে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে জোড়ে হাওয়া বইবে। এই হাওয়ার গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার থেকে ৬০ কিলোমিটার, এমনকি ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকবে। ৭ তারিখ সকালে হাওয়ার গতিবেগ আরও বেড়ে যাবে। ৮০ কিমি থেকে ৯০ কিমি এমনকি ১০০ কিলোমিটারের ওপরে হাওয়া বইবে সমুদ্র এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে। এই হাওয়া আস্তে আস্তে নিজের শক্তি বাড়াবে এবং তা পৌঁছে যাবে মধ্য বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে । আট তারিখ সন্ধ্যেবেলায় এই হাওয়ার গতিবেগ হবে ১২০ কিমি থেকে ১৩০ কিমি এমনকি যা ১৪৫ কিমিও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৮ নভেম্বর সন্ধে থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা এবং ওড়িশার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর জুড়ে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । হাওয়ার গতিবেগ এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগর উত্তাল এবং অতি উত্তাল থাকবে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা লাগোয়া সমুদ্র, ৮ নভেম্বর থেকে উত্তাল এবং ৯ নভেম্বর তা আরও উত্তাল এবং ১০ নভেম্বর সকালে অতি উত্তাল পরিস্থিতি থাকবে সমুদ্রে। ৮ নভেম্বর থেকে মৎস্যজীবীদের পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে । যারা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাদের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হুগলি বন্দর এবং সাগর বন্দরেও সর্তকতা জারি করা হয়েছে।