সুপ্রিম কোর্টে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ দু'সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছিলেন।
ভোপাল: মধ্যপ্রদেশ সঙ্কট (MP Crisis) দূর করতে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল কংগ্রেসের। যত দ্রুত সম্ভব ফ্লোর টেস্ট বা আস্থা ভোটের আয়োজন করতে বিধানসভার অধ্যক্ষ এনপি প্রজাপতিকে নির্দেশ দিল আদালত (Supreme Court)। অধ্যক্ষের তরফে দু'সপ্তাহ সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ সরকারের (Kamal Nath Government) আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের সামনে সওয়াল করেন, "আমাদের দু'সপ্তাহ সময়দিন। বিক্ষুব্ধ বিধায়করা ফিরে এলেই আস্থা ভোট আয়োজিত করব।" এই সওয়ালের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, সপ্তাহ মানে ঘোড়া কেনাবেচার জন্য পর্যাপ্ত সময়। তাই আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিচ্ছে। এখনই সক্রিয় হন আর ঘোড়া কেনাবেচা বন্ধ করতে আস্থা ভোট করান।
আগামিকাল নির্ভয়ার চার আসামির ফাঁসি, আর্জি খারিজ করল আদালতে
এদিন রাজ্যপালের এক্তিয়ার প্রসঙ্গেও এদিন সরব হয়েছিলেন বিচারপতি। মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির উদ্দেশে ওই বিচারপতি বলেছেন, নিজের পদের বলেই রাজ্যপাল আস্থা ভোটের পক্ষে সওয়াল করতে পারেন। যদি তিনি মনে করেন নির্বাচিত সরকার সংখ্যালঘু এবং বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি। সেই মুহূর্তে রাজ্যপাল চাইলে অধ্যক্ষকে বলতেই পারেন আপনার পদের ব্যবহার করে আস্থা ভোট আয়োজিত করুন। এই প্রেক্ষিতে সরকারের তরফে সওয়াল করেছিল, যে কংগ্রেস বিধায়করা বেঙ্গালুরুতে বন্দি, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? সেই প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, প্রয়োজনে আদালত মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ বেঙ্গালুরুতে থাকা বিধায়কদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারে। জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভাতে এখন মোট সদস্য সংখ্যা ২২২। সেখানে ম্যাজিক ফিগার ১১২। বিজেপির ১০৭ জন বিধায়ক আর কংগ্রেস ও সহযোগীদের ১১৪ জন।
স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে করোনা সন্দেহভাজনরা দিব্যি ঘুরছেন প্রকাশ্যে
সম্প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরেই মধ্যপ্রদেশে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়। জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠ ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে অধ্যক্ষর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই ২২ জনের মধ্যে ৬-জনের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন অধ্যক্ষ এনপি প্রজাপতি।