West Bengal: রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া তাবলিগি সদস্যদের চিহ্নিত করা হয়েছে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
হাইলাইটস
- রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গ সরকার
- নিজামুদ্দিন ফেরত ১৭৭ জন তাবলিগি সদস্যকে করা হল কোয়ারান্টাইন
- এর মধ্যে ১০৮ জন বিদেশি নাগরিকও আছেন, জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়া তাবলিগি জামাত সদস্যদের খুঁজে বের করছে প্রশাসন, করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) বাড়বাড়ন্ত রুখতেই ওই পদক্ষেপ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ভয়ঙ্কর রোগের সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্যে ইতিমধ্যেই ১৭৭ জন তাবলিগি সদস্যকে (Tablighi Jamaat) কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে, জানান তিনি (Mamata Banerjee)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই ১৭৭ জনের মধ্যে আবার ১০৮ জন বিদেশিও রয়েছেন। "নিজামুদ্দিন ফেরত ১০৮ জন বিদেশিকে আমাদের এখানে কোয়ারান্টাইন করে রেখেছি। তাঁরা কেউ মায়ানমার, কেউ ইন্দোনেশিয়া, কেউ বাংলাদেশের নাগরিক। সঙ্গে বাংলারও ৬৯ জনকেও রাখা হয়েছে। নিউটাউনের হজ হাউসে মোট ১৭৭ জন তাবলিগি সদস্য কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আমাদের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা গোটা পরিস্থিতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন”, নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
"সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করবেন না": তবলিগি কাণ্ডে রাজ্যের কতজন শনাক্ত প্রশ্নে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী!
এদিকে রাজ্যে ক্রমশই করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে ১০৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, এঁদের মধ্যে আবার ১৬ জন সুস্থ হয়ে গেছেন এবং ৫ জন মারা গেছেন।
গত মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশের পর থেকেই দেশে দ্রুত হারে বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ।কেন্দ্রীয় সরকারের একটি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি রোগী বা এদেশে করোনা সংক্রমণের মোট সংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশই তাবলিগ-ই-জামাতের সদস্য। গত মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় ইসলামী সম্প্রদায় তাবলিগ-ই-জামাত একটি বিরাট ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করে যাতে যোগ দেন বহু বিদেশিও।
করোনার ছোবলে মৃত ১৬৬, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু, মোট আক্রান্ত ৫,৭৩৪
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভারতে প্রতি ৪.১ দিন পরেই দ্বিগুণ হচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, যা একটা বড়সড় বিপদ সংকেত হিসাবেই দেখছেন অনেকে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওই ধর্মীয় সমাবেশে ঠিক কতজন অংশ নিয়েছিলেন তার কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে এই বিশেষ ইস্যু সম্পর্কে কোনও আপডেট জানাতে অস্বীকার করেন। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে ইসলামী সম্প্রদায় তাবলিগি জামাত আয়োজিত সমাবেশে এ রাজ্যের কতজনের উপস্থিতির সন্ধান মিলেছে তা জানতে চাওয়া হলে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। বিরক্তি প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না”। এরপর যদিও পরের দিনই নিজে থেকে এই বিষয়ে পরিসংখ্যান দেন মুখ্যমন্ত্রী।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)