This Article is From Dec 02, 2019

নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মানিত করবে রাজ্য বিধানসভা 

রাজ্য সরকার আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় এলে তাঁকে রাজকীয় ভাবে সম্মাননা জ্ঞাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই বিধানসভার পাঠাগারে রাখার ব্যাপারেও প্রস্তাব এনেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমারকে ‘‘বিশ্ব থেকে দারিদ্র দূরীকরণে এক অসামান্য পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য'' অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize for Economics) দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্যের বিধানসভায় (West Bengal Assembly) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জ্ঞাপনের ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমারকে তাঁদের গবেষণার জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও প্রস্তাব পেশ করেছেন, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই বিধানসভার পাঠাগারে রাখার ব্যাপারে, যাতে ভবিষ্যতে তা বিধায়কদের কাজে আসতে পারে। কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বিধানসভার পক্ষে অর্থনীতিতে নোবেল জয়ের জন্য অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মানিত করার প্রস্তাব দেন। তাঁর প্রস্তাব সমর্থন করেন বিধানসভার স্পিকার।

এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মানিত করা হবে। আমরা বিধানসভার পক্ষ থেকেও তাঁকে সম্মানিত করব।''

“আমার পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পীযূষ গোয়েল”, NDTV কে বললেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় এলে তাঁকে রাজকীয় ভাবে সম্মাননা জ্ঞাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৫৮ বছরের অর্থনীতিবিদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন আটের দশকে। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য গবেষণা শুরু করেন।

Advertisement

ভোরের ফোনে নোবেল জিতেছেন শুনে ঘুমোতে চলে যান অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়!

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ব্যুরো ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইকনোমিক অ্যা‌নাল‌িসিস অফ ডেভেলপমেন্টে'র শীর্ষে রয়েছেন। এই অলাভজনক সংস্থা উন্নয়ন অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা ও বৃত্তির উৎসাহদাতা। অতীতে তিনি ‘সেন্টার ফর ইকনোমিক পলিসি রিসার্চ'-এরও ফেলো ছিলেন তিনি। এছাড়াও আরও বহু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।

Advertisement

তিনি এযাবৎ চারটি বইও লিখেছেন। এর সঙ্গে রয়েছে তাঁর গবেষণাপত্র ‘পুওর ইকনোমিক্স'। ওই গবেষণাপত্র তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে লিখেছিলেন। যেটি ২০১১ সালে ‘গোল্ডম্যান সাচস বিজনেস বুক অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড' পায়। বইটি ১৭টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

২০১৫ সালে তিনি এস্থার ডুফ্লোকে বিয়ে করেন। এস্থার ডুফ্লোও একজন নামী অর্থনীতিবিদ। তিনি দ্বিতীয় মহিলা ও কনিষ্ঠতম হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement