এর আগেও বেশ কয়েকবার রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বাবুল সুপ্রিয় । এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া সুরে আক্রমণ করলেন ওই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Babul Supriyo)। তাঁর মতে পুলিশের জোরেই তিনি (Mamata Banerjee) ক্ষমতায় রয়েছেন, পুলিশ নামক অস্ত্রটি তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হলেই পড়ে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। "পুলিশি শক্তির জোরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় রয়েছেন, ওই শক্তি তাঁর কাছ থেকে সরে গেলেই, ক্ষমতাচ্যুত হবেন তিনি, তাঁকে ক্ষমতা থেকে ছুঁড়ে ফেলা হবে", সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন বাবুল। ওই বিজেপি নেতা আরও বলেছেন: "রাজ্যের মানুষ এখন চান তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডামি বন্ধ হোক। ওরা (তৃণমূল কংগ্রেস) যেভাবে আমাদের (বিজেপি) অফিসগুলিতে ভাঙচুর করেছে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আসলে ওরা বুঝতে পারছে যে রাজ্যের ভোটাররা আমাদের সঙ্গেই আছেন।"
রাজনীতিই পশ্চিমবাংলার সবচেয়ে বড় দূষক পদার্থ: রাজ্যকে ফের আক্রমণ বাবুল সুপ্রিয়র
বারাবণী অঞ্চলে বিজেপির তিনটি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে, অভিযোগ, ওই কার্যালয়গুলিতে হামলা চালিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। বিজেপির ওই তিনটি কার্যালয়ের একটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপির ওই সাংসদ। সেখানে গিয়েই শাসক দল এবং তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন বাবুল সুপ্রিয়।
Byelections: তৃণমূল বনাম বিজেপি: রাজ্যের তিন কেন্দ্রে আজ উপনির্বাচন
এদিকে বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর প্রসঙ্গে গেরুয়া দলের প্রবীণ নেতা মুকুল রায় বলেছেন: "তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে যত ভাঙচুর করতে চায় তা করতে দিন। রাজ্যের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না এবং সবাই এটা জানেন।"
১৮ নভেম্বর, তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন কর্মী মিলে বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি তাঁরা বারাবণী এলাকায় বিজেপির কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পদ্মবাহিনী অভিযোগ করেছে যে ওই একই দিনে গৌরান্দি, কান্তাপাহাড়ি ও জৌগ্রামের দলীয় কার্যালয়গুলিতেও ভাঙচুর চালায় রাজ্যের শাসক দলের বেশ কিছু সদস্য।
দেখুন মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক টানাপোড়েন সহ বিশেষ বিশেষ কিছু খবর: