This Article is From Jun 20, 2020

নেই স্মার্টফোন, তাই ব্রাত্য অনলাইন ক্লাস! অবসাদে আত্মহত্যা হাওড়ার কিশোরীর

ইংলিশ মাধ্যম স্কুলের সেই ছাত্রীর দেহ প্রথম উদ্ধার করে তার দাদা। সন্ধ্যায় ক্রিকেট খেলে বাড়িতে ফিরে বোনের নিথর দেহ দেখতে পান ওই তরুণ

নেই স্মার্টফোন, তাই ব্রাত্য অনলাইন ক্লাস! অবসাদে আত্মহত্যা হাওড়ার কিশোরীর

সেই পড়ুয়া অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি। কারণ স্মার্টফোন নেই।

কলকাতা:

স্মার্টফোন নেই। তাই ব্রাত্য অনলাইন ক্লাসে (No smartphone, no online class)। সেই অবসাদে আত্মঘাতী হলেন হাওড়ার কিশোরী (Student committed suicide in Howrah)। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে তার দেহ উদ্ধার করে বালির নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Amie Sushant Singh suicide case) আত্মহত্যার পর এই ঘটনা ফের একবার সমাজে বঞ্চনার চিত্রকে চওড়া করল। এমনটাই দাবি মনোবিদদের। পুলিশ সূত্রে খবর, ইংলিশ মাধ্যম স্কুলের সেই ছাত্রীর দেহ প্রথম উদ্ধার করে তার দাদা। সন্ধ্যায় ক্রিকেট খেলে বাড়িতে ফিরে বোনের নিথর দেহ দেখতে পান ওই তরুণ। জানা গিয়েছে, নিশ্চিন্দা থানা এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থাকত ভাই-বোন। লকডাউন ঘোষণার দিন তিনেক আগে বিহারের গ্রামের বাড়ি গিয়েছেন ওই কিশোরীর মা-বাবা। তখন থেকে ওখানেই আছেন। মৃতার বাবা পেশায় ট্রাক ব্যাপারী সন্তু সাউ বলেন, "ঘরে একটাই স্মার্টফোন সেটা আমি নিয়ে এসেছিলাম।"

মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হাওড়া ফিরেছেন সাউ দম্পতি। মৃতার বাবা বলেন, "মৃতের কাছে একটাই ফোন ছিল। সেটা স্মার্টফোন নয়। যদিও জলে পড়ে সেই ফোন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমার ছেলে বলেছিল বোন খুব উদ্বিগ্ন। কারণ ওর কাছে ফোন নেই, তাই অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না।"

আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। এমনটাই পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছেন সন্তু সাউ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, "দেহের পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। তবে অবসাদ এই আত্মহত্যার মূল কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে।" যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক বিপুল দাস বলেছেন, "মেয়েটি বেশ শান্ত স্বভাবের ছিল। বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরতো না। তবে, দেখা হলে পড়াশোনা নিয়েই কথা বলতো।"
দাদার বক্তব্য, "অনেকদিন ধরে চুপ করে গিয়েছিল বোন। পড়াশুনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল জানতাম। কিন্তু সেটা এতটা চরম ছিল বুঝতে পারিনি।"

(আপনার যদি মানসিক চিকিৎসার জন্য কোনও সহযোগিতা লাগে বা পরিচিত কেউ অবসাদগ্রস্ত হয়, তাহলে তাঁকে নিকটবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান)

হেল্পলাইনস: AASRA: 91-22-27546669 (24 hours)
Sneha Foundation: 91-44-24640050 (24 hours)
Vandrevala Foundation for Mental Health: 1860-2662-345 and 1800-2333-330 (24 hours)
iCall: 022-25521111 (Available from Monday to Saturday: 8:00am to 10:00pm)
Connecting NGO: 18002094353 (Available from 12 pm - 8 pm)

.