West Bengal Bandh: বাংলা বনধে বাস ভাঙচুর হল বহু জায়গায়, হল ট্রেন অবরোধও
পশ্চিমবঙ্গ: বিজেপির ডাকা বারো ঘন্টা বনধের (West Bengal Bandh) কয়েক ঘন্টা পেরিয়ে গেল। এর মধ্যেই বনধ সমর্থকদের বেশ কিছু কার্যকলাপে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল রাজ্যের একটি বড় অংশের মানুষ। কয়েক জায়গায় এমনকি সরকারি বাসের চালকদের হেলপটে পরে বাস চালাতেও দেখা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনে হস্তক্ষেপ করলে বনধ (West Bengal Bandh) সমর্থকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সকাল থেকেই একের পর এক রেললাইন অবরোধ করেছিল বনধ সমর্থকরা। অবরোধ করা হয় জিটি রোডও। কলকাতায় বনধের আঁচ তেমনভাবে এখনও পর্যন্ত না এসে পড়লেও, জেলায় এর প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণার হাসনাবাদ ও গুমাতে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে লাঠি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। এছাড়া, হাওড়ার টিকিয়াপাড়াতে একটি বেসরকারি বাস বনধ সমর্থকদের রোষের মুখে পড়ে যায়।
বারাসাতে সংঘর্ষ বেঁধে যায় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হস্তক্ষেপ করার পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। কোচবিহারে তিনটি সরকারি বাস ভাংচুর করে বনধ (West Bengal Bandh) সমর্থকরা। একইভাবে বাসে ভাংচুর চালানো হয় মেদিনীপুরেও। তারপর বাসটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
বনধ ব্যর্থ করার জন্য অজস্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শহরের বিভিন্ন স্থানে।
সকলে কাজে বেরোন। কাজ থামাবেন না। সচল রাখুন বাংলাকে। গতকালই এই কথা বলেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলিকে খোলা রাখার নির্দেশ দেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হতে হবে না। বিজেপির ডাকা বারো ঘন্টার বনধকে (Bangla Bandh) সফলভাবে ব্যর্থ করে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। "আমি সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছি, তাঁরা যেন তাঁদের স্কুল বনধের দিন বন্ধ না করেন। আমি আবার বলছি, আপনারা নির্ভয়ে স্কুল চালান। বনধের দিন ক্লাস করুন। ক্লাস করান। স্বাভাবিকভাবে চলুন আর পাঁচটা দিনের মতোই। ভয়ের কিচ্ছু নেই। যদি স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের জন্য বাসেরও বন্দোবস্ত করতে পারি", বলেছিলেন পার্থ।