This Article is From Jan 20, 2020

CAA: সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে পারেন না, বললেন চন্দ্র কুমার বসু

আগেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেতাজির প্রপৌত্র, "ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সব ধর্মের মানুষই থাকতে পারেন", টুইট করেন Chandra Kumar Bose

CAA: সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে পারেন না, বললেন চন্দ্র কুমার বসু

CAA Protest: নেতাজির প্রপৌত্রের মুখে এবার শোনা গেল নিজের দল বিজেপিরই সমালোচনা

হাইলাইটস

  • সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেই সন্ত্রাসের রাজনীতি করা উচিত নয়, বললেন চন্দ্র কুমার বসু
  • মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে সিএএ নিয়ে বোঝানো উচিত, পরামর্শ বিজেপি নেতার
  • কোনও ধর্মের উল্লেখ করে প্রচার করা অনুচিত, মনে করেন চন্দ্র বসু
নয়া দিল্লি:

আগেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেতাজির প্রপৌত্র তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র কুমার বসু, এবার আরও একবার দলের বর্তমান পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল তাঁকে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা মানেই মানুষকে চমকে-ধমকে কাজ করা নয়, মত বিজেপি নেতার। এর আগে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় (Citizenship Amendment Act) টুইট করে চন্দ্র কুমার বসু লেখেন,"ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সব ধর্মের মানুষই থাকতে পারেন"। সিএএ নিয়ে এবার তিনি (Chandra Kumar Bose) বললেন, 'আমাদের কাজ হল মানুষকে বোঝানো যে আমরা সঠিক আর ওঁরা ভুল। তবে এটা বোঝাতে গিয়ে কোনওভাবেই অশালীন হওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বলেই আমরা সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে পারি না। আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে সিএএর সুবিধার কথা বোঝাতে'।

সরকারের কাছে নতুন সতর্কবার্তা: NRC -র ভয় হিন্দুদেরকেও তাড়া করবে

চন্দ্র কুমার বসুর কথা উল্লেখ করে এএনআই জানিয়েছে, "আমি আমার দলীয় নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছি যে সামান্য সংশোধন করে বুঝে শুনে এগোলেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধী প্রচার বন্ধ করা যেতে পারে। আমাদের স্পষ্টভাবে সবাইকে বোঝাতে হবে যে এই আইনের ফলে উপকৃত হবেন এতদিন ধরে অত্যাচারিত হওয়া সংখ্যালঘুরাই, আমাদের এ বিষয়ে কোনও ধর্মের কথা উল্লেখ করাই উচিত নয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।"

কোনও রাজ্য ব‌লতে পারে না সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না: কপিল সিবাল

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-সভাপতি বলেন, কোনও মতেই কোনও আইন কারোর উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। সিএএ নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির অবস্থান প্রসঙ্গে চন্দ্র বসু জানান, "একটা বিল একবার সংসদে পাস হয়ে গেলে সেটা মানতে বাধ্য থাকবে সব রাজ্য সরকারই। সেটাই আইনতগত ভাবে সঠিক। তবে গণতান্ত্রিক দেশে কিছুতেই কারোর উপর কোনও আইন চাপিয়ে দেওয়া যায় না।"

গত মাসে তিনি টুইট করে বলেন যে ভারত এমন একটি দেশ যা সব ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত। তিনি টুইট করেন, "নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যদি কোনও ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত না-ই হয় তবে কেন কেবল হিন্দু, শিখ, বুদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সী এবং জৈনরাই এতে অন্তর্ভুক্ত হবে? মুসলমানরা কেন অন্যদের মতো এই আইনে অন্তর্ভুক্ত হবেন না? এই আইনটিকে আরও স্বচ্ছ করতে হবে"।

অন্য একটি টুইটে তিনি,"ভারতকে অন্য কোনও দেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় না, কারণ আমাদের দেশ সমস্ত ধর্ম ও সম্প্রদায়ের জন্যে উন্মুক্ত দেশ।"

.