Coronavirus: বাজি-পটকা ফাটানোর সমর্থনে কথা বললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ
হাইলাইটস
- রবিবার রাত ৯টায় যেভাবে কিছু মানুষ বাজি-পটকা ফাটিয়েছেন তার পক্ষেই সওয়াল
- সওয়াল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
- ওই রকম করায় মানুষের মনের হতাশা কেটেছে, মনে করেন বিজেপি নেতা
হাওড়া: গত রবিবার (৫ এপ্রিল) করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যে একজোট হয়ে লড়ছে তার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে এবং ওই মহামারীর (Coronavirus) কারণে দেশের উপর ঘনিয়ে আসা কালো অন্ধকারকে কাটাতে রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটের জন্যে ঘরের সব আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অসংখ্য মানুষ সেদিন ওইভাবেই ৯ মিনিট কৃত্রিম আলো জ্বালান। তবে অতি উৎসাহী কিছু লোকজন চলতি লকডাউন (India Lockdown) উপেক্ষা করে বাজি-পটকাও ফাটাতে শুরু করেন, ওড়ান ফানুসও। এই নিয়েই যখন রাজ্য তথা দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ঠিক সেই সময় একেবারে উল্টো সুর শোনা গেল দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে। রাজ্য বিজেপি সভাপতির ( Dilip Ghosh) মতে যদি ওই দিন কেউ পটকা বা বাজি ফাটিয়েই থাকেন তাতে এমন কিছু খারাপ হয়নি। পোড় খাওয়া ওই বিজেপি নেতা মনে করেন, বরং ওই কাণ্ডকারখানার ফলে মানুষের হতাশা কেটেছে।
৪ দিন অন্তর দ্বিগুণ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ১ সপ্তাহে ১৭,০০০ ছাড়াতে পারে
করোনার থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেও যে কিছু লোক অকাল দীপাবলি পালন করলেন সেই নিয়ে নিন্দার ঝড়কে রীতিমতো দমিয়ে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এতদিন ধরে মানুষ হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন, সেখানে যদি একটু আনন্দ করেন তাঁরা তাহলে তাতে বিরোধীদের এত কষ্ট হচ্ছে কেন? ওদের তো সুখও নেই, দুঃখও নেই। ওইভাবে বাজি পোড়ানোতে অনেক সাধারণ মানুষেরই হতাশা কেটে গেছে"।
"প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশের কোটি কোটি মানুষ এগিয়ে এসেছেন। সেই সময় যাঁরা তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁরাই এখন কারা বোমা ফাটাল, তা খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছেন। বাজি ফাটানোর মধ্যে তো অন্যায়ের কিছু নেই। আনন্দ করুক মানুষ একটু", বলেন তিনি।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু দেশে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন রফতানি করার সিদ্ধান্ত ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, "আমি পরিবেশবিদদের কাছে জানতে চাই যে, যারা বলছেন যে ওই দিন বাজি ফাটানোর ফলে শহরের বাতাসের গুণগতমানের অবনতি হয়েছে তাঁরা কোথায় ছিলেন যখন গত বছর প্রায় সবসময়েই দূষণের শীর্ষে ছিল কলকাতা? আমি সকলকে অনুরোধ করব দয়া করে এই বিষয়গুলো নিয়ে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করবেন না"।
এর আগে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওই আলো জ্বালানোর আহ্বানের সমালোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভারতই গোটা বিশ্বের প্রথম দেশ যেখানে মহামারীও উদযাপিত হয়।
"আতসবাজি, অভিনব সব আলো এবং ফানুসের সাহায্যে আমরা মহামারী # COVID19 উদযাপনকারী প্রথমদেশ হয়েছি। আমি ভাবছি এই উদযাপন করতে গিয়ে আমরা কতটা # লকডাউনের নিয়ম অনুসরণ করেছি। এটার দ্বারা কী প্রমাণ হল স্ব-বিচ্ছিন্নতা নাকি আত্ম-ধ্বংস?", নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।