This Article is From Aug 20, 2020

তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য টোল-ফ্রি নম্বর চালু করলো রাজ্য বিজেপি

Bengal toll-free number: ফোন নম্বরটি হলো ৭০৪৪০৭০৪৪০, সমস্ত অভিযোগ সংগ্রহ করে সেগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে

তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য টোল-ফ্রি নম্বর চালু করলো রাজ্য বিজেপি

Dilip Ghosh: বিজেপির নতুন রাজনৈতিক কৌশল  "দুর্নীতির বিরুদ্ধে" (ফাইল ছবি)

হাইলাইটস

  • রাজ্যের মানুষ এবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন
  • এজন্য একটি টোল-ফ্রি নম্বর চালু করলো বিজেপি
  • নম্বরটি হলো ৭০৪৪০৭০৪৪০
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে বুধবার একটি টোল-ফ্রি নম্বর (BJP toll-free number) চালু করা হলো যেখানে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে (Bengal toll-free number) পারবেন রাজ্যের মানুষ। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই বিশেষ পরিকল্পনার সূচনা করেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন এই "দুর্নীতির বিরুদ্ধে" পরিকল্পনাটি দিয়েই কিস্তিমাৎ করতে চাইছে গেরুয়া দল। দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, "তৃণমূলের নানা দুর্নীতির কারণে রাজ্যের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বা কোনও নির্দিষ্ট তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে আপনারা আমাদের এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করতে পারেন এবং আপনাদের অভিযোগগুলো নথিভুক্ত করতে পারেন।"

মানুষের করা এই অভিযোগ সংগ্রহ করে সেগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই ফোন নম্বরটি হলো ৭০৪৪০৭০৪৪০।

গত মাসেই নয়া দিল্লিতে বিজেপি নেতৃত্বের এক বৈঠক হয়, সেখানেই এই টোল-ফ্রি নম্বর চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনেকেই বলছেন, এটাই এখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল হতে চলেছে।

বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে তুলে আনেন আমফান পরবর্তী রাজ্যের পরিস্থিতির কথা। তাঁর অভিযোগ, মে মাসের মাঝামাঝি রাজ্যে আছড়ে পড়া ওই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেও সেটি নিয়েও "বড় আকারের দুর্নীতি" হয়। "এটা একটা বিরাট কেলেঙ্কারি, বিরাট বড় আকারের দুর্নীতি এবং এক্ষেত্রে প্রশাসন শুধু নীরব দর্শক ছিলো", এমন দাবিও করেন তিনি ।

রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর একটি অংশ লাগাতার অভিযোগ করে আসছে যে, আমাফানে যাঁদের প্রকৃত ক্ষতি হয়েছিলো তাঁরা সরকারি সাহায্য পাননি। অথচ ওই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও তৃণমূলের অনেক নেতা এবং তাঁদের আত্মীয়রা রাজ্য সরকারের দেওয়া আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

"শাসক দল আসলে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে", অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।

গত কয়েক সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও হাওড়ার মতো ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ বিতরণে সময় তাতে দুর্নীতি করা হয়েছে এই অভিযোগে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান।

ঘটনায় নড়েচড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক তৃণমূল নেতাকে দল থেকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে।

.