West Bengal: সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দিল পুলিশ, যেতে দেওয়া হল না মানুষের কাছে
হাইলাইটস
- হিলি সীমান্তে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে বাধার মুখে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ
- সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে আটকে দেয় পুলিশ
- কোনও অনুমতি না থাকাতেই তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি, বলেন ডিএসপি
কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh border) হিলি সীমান্তে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হল বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের (West Bengal) বালুরঘাটে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনের খোঁজখবর নিতে ও তাঁদের ত্রাণ বিলি করতেই সেখানে তিনি (Sukanta Majumder) যান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে বালুরঘাটের মঙ্গলপুর ডিএভি স্কুলের সামনে আটকে দেয়। সুকান্ত সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সাংসদের একচোট কথা কাটাকাটিও হয়।পুলিশের দাবি, সাংসদ কোথাও গেলে সেখানে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে লঙ্ঘিত হতে পারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি। তাই সাংসদকে এগোতে দেওয়া যাবে না। ওদিকে সাংসদ কোন নির্দেশ বলে পুলিশ তাঁকে আটকাচ্ছে তা জানতে চান। যদিও তা দেখাতে পারেনি পুলিশ। এরপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে বিষয়টি জানান সুকান্ত মজুমদার। যদিও তারপরেও পুলিশ তাঁকে ওই এলাকায় গিয়ে ত্রাণ বিলির অনুমতি দেয়নি। পুলিশের যুক্তি ত্রাণ বিলি করতে হলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন, যা বিজেপি সাংসদের কাছে ছিল না। যদিও সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে জানিয়েই সেখানে এসেছেন।
‘অপমানিত' মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে মনে করালেন তিনি ‘মনোনীত'
ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংসদ মুখ খোলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, "পুলিশ এখন দলদাসে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছেন পুলিশকর্মীরা। তৃণমূলের বড়-মেজ, এমনকী চুনোপুঁটি নেতারাও রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যাঁরা কোনও সরকারি পদে নেই তৃণমূলের তেমন নেতাদেরও বাধা দিচ্ছে না পুলিশ। যত বাধা দেওয়া হচ্ছে বিজেপি নেতাদের"।
ঘটনা সম্পর্কে ডিএসপি ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, বিজেপি সাংসদের সীমান্ত সফর সম্পর্কে তাঁদের কাছে কোনও লিখিত তথ্য নেই। পাশাপাশি জেলা শাসক নিখিল নির্মলও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের বৃদ্ধির হার রৈখিক, জানাল সরকার
এদিকে সুকান্ত মজুমদার এই অভিযোগও করেন যে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ ওই এলাকায় গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেছেন, আগে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ওই এলাকায় যদি সুকান্ত মজুমদার যেতেন তবে হয়তো এই সমস্যায় পড়তে হত না তাঁকে।
তবে বিজেপি নেতাদের বাধা দেওয়ার এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার লকডাউনের মধ্যে বিজেপি সাংসদদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা, রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী-সহ আরও একাধিক বিজেপি সাংসদ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)