Citizenship Amendment Act: যে শরণার্থীরা এতদিন নাগরিকত্বের জন্যে হা-পিত্যেশ করছিলেন এবার তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন, বলেন দিলীপ ঘোষ (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ফের সওয়াল দিলীপ ঘোষের
- সিএএ-র অধীনে সব শরণার্থীরাই নাগরিকত্ব পাবেন, বলেন তিনি
- এদিকে রাহুল সিনহার "বাংলাদেশি মুসলমান" মন্তব্য ঘিরে ছড়াল বিতর্ক
কলকাতা: দেশের সমস্ত শরণার্থীদেরই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, জোর গলায় বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসে নাগরিকত্ব নিয়ে এক নয়া বিতর্ক উস্কে দেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন “পার্ক সার্কাস ও শাহিনবাগে (Shaheen Bagh CAA Protests) যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা সবাই বাংলাদেশি মুসলমান।” দলীয় নেতার এই মন্তব্যের পরেই সিএএ (CAA) নিয়ে ফের সওয়াল করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি (Dilip Ghosh)। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে একটি সমাবেশে অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন যে শরণার্থীরা এতদিন নাগরিকত্বের জন্যে হা-পিত্যেশ করছিলেন এবার তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। পাশাপাশি নাগরিকপঞ্জিকরণ বা এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের কর্মীরা রাজ্যের মানুষজনকে ভুল বুঝিয়ে অযথা ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। তবে তাঁর দাবি, যে যাই বোঝাক না কেন এনআরসি (NRC) নিয়ে বিস্তারিত বিবরণের ফর্ম পূরণ করা আবশ্যিক, সে অনলাইনেই হোক বা অফলাইনে।
"আমরা যখন সিএএ পাস করিয়েছি তখন অবশ্যই এর অধীনে প্রতিটি শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেব। ওঁরা আর কতক্ষণ বিরোধিতা করবে? তৃণমূল কর্মীরা যদি এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ করার চেষ্টা করেন তবে রাজ্যের মানুষই তার প্রতিবাদ করবেন", বলেন দিলীপ ঘোষ।
"পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ", ইউরোপীয় ইউনিয়নের CAA বিরোধী প্রস্তাবে বলল ভারত
এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসে পার্ক সার্কেসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যাঁরা বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন তাঁদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। দিল্লির শাহিনবাগের মতোই কলকাতার পার্ক সার্কাসে স্থানীয় মহিলা, শিশু, যুবকরা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় জোরদার প্রতিবাদ চালাচ্ছেন। এই আন্দোলন নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “পার্ক সার্কাসে যে বাচ্চারা আন্দোলনে আছে, ওরা বিদেশি বাচ্চা । ওখানে সব বাংলাদেশি মুসলমান।” তিনি আরও বলেন,”ওদের ভারত ছাড়তেই হবে। আজাদি স্লোগান এখানে চলবে না। ভারতকে টুকরো করতে চায় যারা, তারা জাতীয় পতাকা হাতে ধরলেই কি সব মেনে নিতে হবে। যত চেষ্টাই করুন, যারা এদেশের নন, তাদের এদেশ ছাড়তেই হবে।"
"এটা পড়ুন": সংবিধানের প্রতিলিপি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাল Congress, টুইট করলো অ্যামাজনের রিসিপ্ট
রাহুল সিনহার মতো বিজেপি নেতার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত বলে সমালোচনা করেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি পাল্টা কটাক্ষ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, সংবিধানের উল্লেখ করা অধিকার রক্ষার পক্ষে যদি কেউ আন্দোলন করেন তবে তাঁকে "দেশবিরোধী" বলা যায় কি?
ওদিকে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন যে, বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বললেই তাঁকে "দেশবিরোধী" আখ্যা দেওয়া হয়। লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা বলেন, "বিজেপি দেশের মানুষকে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু ওরা বুঝতে পারেনি যে সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের বিরুদ্ধে দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে গর্জে উঠবে।"
রাহুল সিনহার বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনা করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে যে কথা বলছেন তাঁকেই ভারতবিরোধী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, "সংবিধানকে সমর্থন করে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন তাঁরা নন, আসলে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহই দেশকে বিভক্ত করছেন।"