Read in English
This Article is From Oct 23, 2019

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল থেকে আবাসিক বিধি অপসারণের দাবি তুলল রাজ্য বিজেপি

Citizenship (Amendment) Bill অনুযায়ী হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সীরা এ দেশে ৬ বছর ধরে থাকলেই তাঁদের দেশের নাগরিক হিসাবে ঘোষণা করা হবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

Citizenship (Amendment) Bill: বিজেপির পক্ষ থেকে এই সংশোধনী পাস করানোর চেষ্টা করা হবে সংসদের আসন্ন শীতকালিন অধিবেশনে

কলকাতা:

অসম এনআরসির (NRC) উদাহরণ সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব (BJP) নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল থেকে "ছয় বছরের আবাস" দফা অপসারণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে এটির বিষয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রাজ্য (West Bengal) বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (সিএবি) (Citizenship (Amendment) Bill) সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পুনরায় পেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে এ দেশে আসা হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সীরা এ দেশে ৬ বছর ধরে থাকলেই তাঁদের দেশের নাগরিক হিসাবে ঘোষণা করা হবে। ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বর্তমানে ১২ বছর এই দেশে থাকলে তবেই তাঁদের এদেশে নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করে দেখা হতে পারে।

"৬ বছরের আবাসিক ধারাটির পরিবর্তে, কেউ যদি তাঁর ধর্ম ও সম্মান বাঁচাতে এ দেশে আশ্রয় নেন, তবে তিনি কেবল এই মর্মে হলফনামা জমা দেবেন কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য়েও আইন থাকা উচিত। এরপর তাঁর হলফনামা অনুযায়ী সবকিছু যাচাই করে তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে কিনা তা বিবেচনা করা হবে", পিটিআইকে বলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ওই বিজেপি নেতা।

"রাজ্যে NRC নয়, তাই বাংলায় কোনও আটক শিবিরেরও প্রয়োজন নেই": মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement

"তিনি এই বিষয়ে ইতিবাচক। আসুন আমরা দেখি কী হয়। রাজ্য বিজেপি'র দৃষ্টিভঙ্গি এই যে এই দফাটি সরিয়ে ফেলা উচিত। তৃণমূল কংগ্রেস যদিও অতি গুরুত্বপূর্ণ এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জীকরণ এবং সিএবি বা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরুদ্ধে প্রচার করছে। নাগরিকত্ব পেতে একজন ব্যক্তিকে ছয় বছর অপেক্ষা করতে হবে যা জনগণের জন্যে ভাল নয়, এমনভাবেই বিষয়টির অপ-প্রচার করছে শাসক দল", জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির অপর এক প্রবীণ নেতা ।

অসমের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯.৬ লক্ষেরও বেশি নাম - যাদের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ হিন্দু এবং বাঙালি হিন্দু রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়টি তুলে ধরেই মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই অভিযোগ করেছে রাজ্য বিজেপি।  এর আগে গেরুয়া দলটি বলে যে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তাঁরা প্রথমে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএবি বা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বাস্তবায়ন করবে এবং তারপরে অনুপ্রবেশকারীদের এই রাজ্য তথা দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য এনআরসি প্রয়োগ করবে।

Advertisement

তৃণমূল যতই বিরোধিতা করুক, নাগরিকত্ব আইন আনবই: কলকাতায় অমিত শাহ

তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য এই বিষয় দুটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। এনআরসি এবং সিএবি, দুটোই মাধ্যমেই আসলে ধর্মীয় ভিত্তিতে জনগণকে ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে শাসক দল। "এনআরসি এবং সিএবি, দুটোকেই বাতিল করতে হবে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে একজন ব্যক্তিকে কেন নিজের পরিচয় প্রমাণ করতে হবে?" প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

রাজ্যের অপর দুই বিরোধী দল কংগ্রেস এবং সিপিআই (এম) এর মতে, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস, দুই দলই এই সমস্যাটি থেকে জনগণের যে দুর্দশা হতে পারে সেগুলিকে উপেক্ষা করে বিষয়টিকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement