পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন সমেত কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে তাঁকে রেয়াত করা হবে না, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। রাজ্যে (West Bengal) মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিন প্রায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ভুয়ো টিকটক ভিডিওর পর বৃহস্পতিবার ভূগোলের নকল প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ল পরীক্ষা শুরুর আগেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চলতে থাকে, পরীক্ষা (Board Exams) চলাকালীন প্রশ্ন বেরিয়ে আসা নয়, এবার তা আগেভাগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এর ফলে পর্ষদের পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। সেই প্রশ্নপত্র প্রায় আসলের মতোই। নম্বর বিভাজন এবং অন্যান্য বিষয় হুবহু এক। কিন্তু পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, ছড়িয়ে পড়া সেই প্রশ্নপত্র আসলের সঙ্গে মেলেনি। এতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পর্ষদ ও পুলিস-প্রশাসনের কর্তারা। এদিন পর্ষদের তরফে লিখিত বিবৃতিতেই উল্লেখ করে দেওয়া হয়, পরীক্ষা (WB Madhyamik Exam) ব্যবস্থা চলাকালীন কোনও প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপ মারফৎ বের হয়নি। তবে, মোবাইল সহ এদিনও ধরা পড়েছে তিন পরীক্ষার্থী। মালদহের বৈদ্যনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকের এক ছাত্রকে ইংরেজি প্রশ্নপত্রের টিকটক ভিডিও তৈরি করে তা সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
যাদবপুরের ভোটে বাম ছাত্রদের আধিপত্য! প্রথমবার লড়ে খাতা খুলল এবিভিপি
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষার চলাকালীন হলের মধ্যে মোবাইল ফোন সহ ধরা পরীক্ষার্থীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে তিনি জানান যে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দু'দিন কিছু পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যেভাবে লাগাতার মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা প্রচার হচ্ছে তাতে ডব্লিউবিবিএসই বুধবারই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে পরীক্ষার হলের ভিতরে যদি কোনও পরীক্ষার্থীকে বৈদ্যুতিন গ্যাজেট সহ পাওয়া যায় তবে তাঁকে বাকি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না।
পড়ুয়াদের ব্যাগের বোঝা কমাতে রাজ্য সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে লকারের ব্যবস্থা
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এখন থেকে যাঁরাই প্রশ্নপত্র ফাঁস বা গুজব রটানোর দেওয়ার বিষয়ে ধরা পড়বে তাঁদের সাইবার ক্রাইম আইন অনুসারে বিচার করা হবে এবং নিয়ম অনুসারে তাঁদের কঠোরতম শাস্তি প্রদান করা হবে"।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটা লক্ষ্য করা গেছে যে কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে।
"এটা একটা ষড়যন্ত্র এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যে ইচ্ছা করেই এগুলো করা হচ্ছে", একথাও বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)