This Article is From Nov 25, 2019

রাজ্যে তিন কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশ, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী

করিমপুর ছাড়াও, খড়গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

নিজেদের গণতান্ত্রিক রায় ইভিএমবন্দি করলেন ৭ লক্ষ ভোটার।

কলকাতা:

রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে  (By-Polls in West Bengal) ৭ ভোট পড়ল ৭৫.৩৪ শতাংশ, এদিন নিজেদের গণতান্ত্রিক রায় ইভিএমবন্দি করলেন ৭ লক্ষ ভোটার। করিমপুর (Karimpur) বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের (Jay Prakash Majumdar) ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। করিমপুর ছাড়াও, খড়গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৭৫.৩৪ শতাংশ। সন্ধে ৬টার পরেও ভোটারদের লাইন ছিল। সমস্ত তথ্য একত্রিত করলে ভোটদানের হার আরও বাড়বে”। এক আধিকারিক বলেন, “নদিয়া জেলার করিমপুর ছাড়া উপনির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণই হয়েছে। আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি”।

করিমপুর বিধানসভার উপ নির্বাচনে হামলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করল বিজেপি

টিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নদিয়ার ফিলপুলখোলা এলাকায় তাঁকে মারধর, লাথি মেরে ঝোপে ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নয়াদিল্লিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।   

Advertisement

বিজেপি নেতা বিভিন্ন বুথে ঘোরার সময় “গো-ব্যাক” স্লোগান দেন তৃণমূল সমর্থকরা। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গুণ্ডারা জড়িত বলে দাবি করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “ক্ষত সেরে যাবে, তবে এই ঘটনা রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংসের লক্ষণ”। তাঁর অভিযোগ, ভোটে কারচুপি করতে ভুয়ো ভোটার নিয়ে সেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, “তবে এই ঘটনা আমায় হতাশ করতে পারবে না...আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি”।

“আমি ভাল হয়ে যাব, বাংলার কী অবস্থা” হামলা নিয়ে বললেন জয়প্রকাশ মজুমদার

Advertisement

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল অরোরাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা মুকুল রায়, ঘটনায় তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে “পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে প্রহসনে পরিণত করা”-র অভিযোগ তোলেন মুকুল রায়। ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূলের ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলে নদিয়া জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের অপসারণের দাবি তুলেছে বিজেপি। জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামার প্রতিবাদে এদিন গিরিশ পার্ক এলাকায় পথ অবরোধ করে বিজেপি।

যদিও পুরো অভিযোগকে ভিত্তিহিন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি এবং প্রার্থীর ওপর হামলার সত্যতা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি ভাল করেই জানে, তারা নির্বাচনে পরাজিত হবে। সেই জন্য তারা সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টা করছে। যাদের মানুষের সঙ্গে কোনও যোগোযোগ নেই, তারা নাটক করছে। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে শুধু সেটাই করছে”। নদিয়া জেলা তৃণমূলের দাবি, ভোটের পরিবেশ “দুষিত” করার অভিযোগে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

Advertisement

উপনির্বাচনেও অশান্তি! বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হল ঝোপে!

উপনির্বাচনে জোটে লড়ছে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম, তারা বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ দুষিত করার অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার বলেন, “ভোটারদের ভয় দেখাতে রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই কাজ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করছে বিজেপি। তারা একই মুদ্রার দুই পিঠ”।

Advertisement

তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে উপনির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার অভিযোগ তুলেছেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী।

নির্বাচন কমিশয়নে তৃণমূল অভিযোগ জানিয়েছে, স্ত্রীকে ভোট দিতে সাহায্য করেছেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার। 

Advertisement

করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র লোকসভার সাংসদ হয়ে যাওয়ায় আসনটি ফাঁকা হয়। এখানে সিপিআইএম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী গোলাম রাব্বি, বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার, জোড়াফুলের প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

খড়গপুর সদর কেন্দ্র গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রেমচন্দ্র ঝা, এখানে কংগ্রেস-সিপিআইএম প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল এবং তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। খড়গপুরের বিধায়ক দিলীপ ঘোষ লোকসভা নির্বাচনে জিতে যাওয়ায় এই কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement