দেশ জুড়ে ইচ্ছাকৃতভাবেই করোনা ভাইরাস (Coronavirus) নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আসলে দিল্লিতে সম্প্রতি সিএএ বিরোধিতার বিরুদ্ধে যে মারাত্মক হিংসা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তার থেকে নজর ঘোরাতেই এই চেষ্টা, এমন অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। "এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রচুর মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন, গোটা বিশ্ব এই রোগ নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু দয়া করে আতঙ্কিত হবেন না। আসলে দিল্লি হিংসার (Delhi violence) দিক থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই অনেক চ্যানেল করোনা ভাইরাস নিয়ে অতিরিক্ত প্রচার করছে", বলেন তিনি (Mamata Banerjee)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অবশ্যই, আমরা চাই না যে কোনও দেশের মানুষই এই রোগ থেকে আক্রান্ত হোক। তবে এটা তো ঠিক যে কয়েকদিন আগে যারা দিল্লিতে মারা গেছেন, তাঁরা কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। এমনকী তাঁরা সোয়াইন ফ্লু বা এনসেফালাইটিসেও মারা যাননি। তাঁরা যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতেন তবে আমরা মনকে তাও বোঝাতে পারতাম। কিন্তু আপনারা এমন মানুষদের মেরে দিলেন যাঁরা দিব্যি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান ছিলেন, হাসিমুখে কাজে যাচ্ছিলেন"।
রাজ্যে “বিজেপি ছিঃ ছিঃ” প্রচারাভিযান শুরু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস
গত সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব দিল্লির সংঘর্ষে ৪৮ জন প্রাণ হারান, আহত হন আরও বহু মানুষ। ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও উস্কানিই এই হিংসাত্মক পরিস্থিতির জন্যে দায়ী।
এদিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এদেশেই ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস। এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে গোটা বিশ্বে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন ইতালিয় পর্যটক সহ মোট ২৯ জনের শরীরে ওই ভাইরাস বাসা বেঁধেছে।
দিল্লি হিংসার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওরা জলজ্যান্ত সুস্থ মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মেরে ফেললো। অথচ তারপর এই ঘটনার জন্যে একবারও ক্ষমা চাইছে না। বরং বলছে গদ্দারোকো গোলি মারো''।
দিল্লি হিংসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
গত সপ্তাহেই কলকাতায় সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই সমাবেশে যখন তিনি বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময় বিজেপির সমর্থকরা পুলিশের উপস্থিতিতেই স্লোগান তোলেন "গোলি মারো" (গুলি করে দাও)।
এই ঘটনার সমালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লি হিংসার ঘটনাটির বিচারবিভাগীয় তদন্ত করুক সুপ্রিম কোর্ট।