This Article is From Nov 29, 2019

রাজ্যপালের মন্তব্যকে মানুষ পছন্দ করছেন না, সৌজন্যের অভাব রয়েছে তাঁর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

West Bengal: "তাঁর প্রচারের খিদে রয়েছে, কিছু মানুষ মনে করেন যে যদি আমাকে প্রতিদিন টিভিতে না দেখানো হয় তবে আমি আমার গুরুত্ব হারাব", বলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যপালের মন্তব্যকে মানুষ পছন্দ করছেন না, সৌজন্যের অভাব রয়েছে তাঁর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি অনেক রাজ্যপালের সঙ্গেই কাজ করেছেন, বলেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee

কলকাতা:

ফের একবার রাজ্যপালকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী। টিভিতে মুখ দেখাতে আগ্রহী রাজ্যপাল, কীভাবে প্রচারে থাকবেন তার সুযোগ খুঁজতে থাকেন তিনি (Governor Jagdeep Dhankhar) , এভাবেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) আরও বলেন যে, রাজ্যের (West Bengal) মানুষ তাঁর এই ধরণের "উক্তি এবং সৌজন্যতার অভাব" মোটেই পছন্দ করেন না। "আমরা যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি, তিনি আমাদের দিকে করমর্দনের জন্যে হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানান, আমরাও তাই করি। এটাই সৌজন্যে। সংসদের কেন্দ্রীয় হলে দেখা হলে আমরা সিপিআই-এম নেতাদেরও শুভেচ্ছা জানাই। তবে এই ব্যক্তি ... আমি তাঁর শুভ কামনা করি , দীর্ঘজীবন প্রার্থনা করি। তিনি আরও উপরে উঠুন এবং রাষ্ট্রপতি হোন। আমরা তাঁর জন্য প্রার্থনা করব। তবে জনগণ তাঁর কথাবার্তা পছন্দ করেন না, এবং তাঁর সৌজন্যতার অভাব রয়েছে", ধনখড়ের প্রতি একরকম ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

"সমঝোতা বাইরে": বিধানসভায়ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব

জগদীপ ধনখড় মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে যান, তখন রাজ্যপালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হলেও তাঁরা একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেননি বা অনুষ্ঠানের আগে বা পরে একে অপরের দিকে তাকাননি পর্যন্ত, যদিও মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার অধ্যক্ষ, উর্ধ্বতন আধিকারিকদের নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন। যদিও বিভিন্ন দলের বিধায়করা আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যের প্রথম নাগরিককে স্বাগত জানান এবং সৌজন্য বিনিময় করেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি বেশ কয়েকজন রাজ্যপালের সঙ্গে কাজ করেছেন।

"২০১১ সাল থেকে আমরা ক্ষমতায় রয়েছি। কেশরী নাথ ত্রিপাঠি (প্রাক্তন রাজ্যপাল ) পুরোপুরি আরএসএস ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। সম্ভবত দলের নির্দেশে তিনি দু-একবার আমাদের বিরুদ্ধে নানা কথাও বলেছিলেন। তবে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি ভাল ছিল। আমাদের মধ্যে কখনও এরকম ঝামেলা হয়নি", বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যপাল কালীপুজোর সময় তাঁর কালীঘাটের বাসভবনে গিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন: "তাঁর প্রচারের খিদে রয়েছে, কিছু মানুষ মনে করেন যে যদি আমাকে প্রতিদিন টিভিতে না দেখানো হয় তবে আমি আমার গুরুত্ব হারাব"।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা আমাকে 'তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত' বলেছেন: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর

"তিনি আমাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন ... ভাইফোঁটার দিন আমার বাড়িতে তিনি আসতে চেয়েছিলেন ... তবে আমি আমার ছোটবেলা থেকেই জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে আমি ভাইফোঁটা পালন করে থাকি। তিনি ওই চিঠিতে লিখেছিলেন তিনি আসতে চান", বলেন তৃণমূল নেত্রী।

"তবে কেন আমি তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে ওই দিন কাটাব? কীসের জন্য? তিনি ওই দিন আসতে চাইলে আমি তাঁকে লিখেছিলাম যে আমি সেদিন ব্যস্ত থাকব। তাই আমি তাঁকে বলি যে তিনি চাইলে কালীপূজাতে আমার বাড়িতে আসতে পারেন,  সেইমতো তিনি আমার বাড়িতে এলে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। এটা একটা সৌজন্য, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়", বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কী বললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র? দেখুন এই ভিডিও:



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.