কলকাতা: রাজ্যের নাম পরিবর্তন করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবাংলা নাম পাল্টে তা বাংলা রাখার পদ্ধতি সরলীকরণ করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সংসদের তলতি অধিবেশনেই তার জন্য প্রয়োজনীয় সংবিধান সংশোধনী আনারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে এদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দন রাই জানিয়েছে দিয়েছেন, রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়ে এখনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি কেন্দ্র, কারণ, তারজন্য সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, “রাজ্যের নাম ইংরাজিতে ওয়েস্টবেঙ্গল এবং বাংলায় তা পশ্চিমবঙ্গ, আমাদের রাজ্যের প্রাচীন ইতিহাসে এমন কোনও প্রামাণ্য দলিল নেই”।
পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে বাংলা করা হোক, রাজ্যসভায় দাবি তৃণমূল সাংসদের
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-এর ৮ সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে বাংলা, ইংরাজি এবং হিন্দিতে “বাংলা” রাখা হবে। পাশাপাশি এও জানান, ২০১৮-এর ২৬ জুলাই এ নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব আনে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “২১.০৮.২০১৮-এ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে, বাংলা, হিন্দি এবং ইংরাজিতে “বাংলা” রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জনান তিনি”। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন, “আমি আপনাকে অনুরোধ করব, সংসদের চলতি অধিবেশনে সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় সংবিধান সংশোধনী আনুন”।
কন্যাশ্রীর পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ স্বীকৃতি পেল উৎকর্ষ বাংলা
বুধবার রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের নাম পরিবর্তনের পদ্ধতি সরলীকরণ করার জন্যও কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
বুধবার রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের নাম পরিবর্তনের পদ্ধতি সরলীকরণ করার জন্যও কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। চিঠির খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তা পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে, রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে বাংলা রাখার জন্য রাজ্যসভায় সরব হন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এমনকী, রাজ্যসভার মহাসচিবকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও লেখেন তিনি।রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ বলেন, “২০১৮-এর জুলাইয়ে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিল পাশ হয়, যে পশ্চিমবঙ্গ নাম পাল্টে বাংলা রাখা হবে, কিন্তু তারপর থেকে বিলটি এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনাধীন হয়ে পড়ে রয়েছে”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)