জুনে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদল বৈঠকে গড়হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল)
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুধবার দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জনিয়েছে রাজ্য সচিবালয়ের একটি সূত্র। লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম দুই নেতা-নেত্রীর সাক্ষাৎ হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ইস্যু সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের নাম পরিবর্তনের ইস্যুটিও বুধবার আলোচিত হতে পারে। শাসক দল তৃণমূল চায়, রাজ্যের নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ' থেকে বদলে ‘বাংলা' করা হোক। এর আগে বাজেট অধিবেশনের সময় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল।
এছাড়াও ডানলপ কারখানার মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। রাজ্য সরকার এই কারখানার মালিকানা চায়, যা রাষ্ট্রপতির বিবেচনাধীন। এছাড়াও MNREGA প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
রাজীব কুমারের খোঁজে নবান্নে গেল সিবিআই
সম্প্রতি বারবার বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। এর মধ্যে একাধিক চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তকে কেন্দ্র করে মোদি সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মমতা।
গত লোকসভা নির্বাচনে শাসক তৃণমূলকে চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপির এরাজ্যে উত্থান।
গত মার্চে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, এই বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ করবেন।
Saradha Case: সিবিআইয়ের সামনে হাজিরার জন্য আরও সময় চাইলেন রাজীব কুমার
পরে মমতা একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিরোধিতা করেছেন। সম্প্রতি ট্র্যাফিক আইনের পরিবর্তন ও নাগরিক পঞ্জি ইস্যুতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এগুলি তিনি রাজ্যে চালু করতে দেবেন না।
গত জুনে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাননি মমতা। ‘এক দেশ, এক ভোট' সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সব বিরোধী দলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। মমতার বক্তব্য ছিল, এই বিষয়ে আলোচনা কখনও একদিনে শেষ হতে পারে না। তাছাড়া নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলা প্রয়োজন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমম করে মমতা বলেন, দেশে ‘‘অতি জরুরি অবস্থা'' চলছে। দেশের মানুষকে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন সংবিধান প্রদত্ত অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকতে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)