Read in English
This Article is From Oct 23, 2019

"রাজ্যে NRC নয়, তাই বাংলায় কোনও আটক শিবিরেরও প্রয়োজন নেই": মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে কোনোভাবেই NRC চালু হতে দেবেন না, স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

এনআরসির তীব্র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee

শিলিগুড়ি:

ফের একবার এনআরসির বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের নাগরিকপঞ্জিকরণ বা এনআরসির ফলে প্রচুর মানুষ নাগরিক তালিকা থেকে বাদ যাওয়ায় আতঙ্কে ভুগছে এই রাজ্যের মানুষও। রাজ্যের মানুষকে অভয় দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন রাজ্যে কোনোভাবেই নাগরিকপঞ্জিকরণ (NRC) হতে দেবেন না তিনি। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে এনআরসির প্রয়োগ হবে না, তাই রাজ্যে ডিটেনশন সেন্টার বা আটক শিবির স্থাপনেরও কোন প্রয়োজন নেই, সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই শিলিগুড়িতে একটি পর্যালোচনা সভায় সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি (Mamata Banerjee on NRC) বলেন: "রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধীকরণ চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই। আর আটক শিবিরের কোনও প্রশ্নই আসে না কারণ আমরা এর বিরোধী।"

তৃণমূল যতই বিরোধিতা করুক, নাগরিকত্ব আইন আনবই: কলকাতায় অমিত শাহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দৃঢ়ভাবে বলেন যে তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও (সিএবি) বিরোধিতা করছেন, যে বিলটির লক্ষ্য হল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অমুসলিমদের এই দেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা।

Advertisement

তিনি বলেন, "এনআরসির পাশাপাশি আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও বিরোধিতা করছি। ধর্মের ভিত্তিতে এটি কখনই সম্ভব হয় না। কেই এভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যে কে ভারতীয় এবং কেই বা বিদেশি"।

দয়া করে রাজ্যে বিভেদের রাজনীতি করতে আসবেন না: অমিতকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার

Advertisement

গত ৮ জানুয়ারি নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিলটি লোকসভায় পাস হয়। তবে, রাজ্যসভায় এখনও পর্যন্ত বিরোধিতার জেরে ওই বিলটি পাস করাতে পারেনি মোদি সরকার।

যদিও কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করে যান যে, তৃণমূল যতই বিরোধিতা করুক, নাগরিকত্ব আইন এই রাজ্যে প্রয়োগ হবেই।

Advertisement

এর পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দয়া করে বিভাজনমূলক রাজনীতির ধর্ম ছড়িয়ে দেবেন না। দয়া করে মানুষের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করবেন না। যুগে যুগেই বিভিন্ন আদর্শের নেতাদের সম্মান করে এসেছে বাংলা…এই ঐতিহ্য কখনই লুণ্ঠিত হতে পারে না।” 

Advertisement