West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে এনপিআরের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
- এনপিআর এবং এনআরসি নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- ১৭ জানুয়ারি কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে যোগ দেবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
- পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এনপিআরের কাজ
কলকাতা: আগামী ১৭ জানুয়ারি দিল্লিতে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ (NPR) বিষয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মোদি সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, "ওরা চাইলে আমার সরকারকে ফেলে দিয়ে দেখাক"। এর আগে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের পাশাপাশি এনআরসির বিরুদ্ধেও সরব হন তৃণমূল নেত্রী। এনপিআর আসলে এনআরসি-র প্রথম পদক্ষেপ, এমনটাই মনে করেন তিনি। তাই এই দুটি বিষয়েরই বিরোধিতা করে কিছুদিন আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার ছাড়েন এই বলে যে, এনপিআরের (National Population Register) পাশাপাশি বিজেপি যদি বাংলায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ (NRC) করতে চায় তাহলে তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে।
গত সপ্তাহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তিনি নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনে তিনি "পাহারাদার" হবেন।
"যদি কেউ আপনার অধিকার ছিনিয়ে নিতে আসে তবে ভয় পাবেন না, আপনার পাহারাদার আছে।অন্য পাহারাদারদের মতোই রুখে দাঁড়াবো আমি, এই কাজ করতে হলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। তার আগে নয়। এটা এতো সহজ নয়। গুজব, ষড়যন্ত্রে ভয় পাবেন না", দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি জনসভা থেকে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক, সিএএ-এনআরসি ভেবে দেখার পরামর্শ মমতার
মনে করা হচ্ছে আসলে দেশ জুড়ে অসমের মতোই এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জিকরণ চালু করতেই এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের কাজ শুরু করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতেই এই পদক্ষেপ বলে সওয়াল করে কেন্দ্র। যদিও বিরোধীরা অভিযোগ করে যে, এই ধরণের পদক্ষেপ আসলে মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ।
গত ডিসেম্বরে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ অসম ছাড়া অন্য সব রাজ্যে এনপিআর আপডেট করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। তবে এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিক তালিকা নিয়ে দেশ জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের পরে কিছুটা থমকে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে গোটা দেশে এনআরসির প্রয়োগ করার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি।
‘‘নাগরিকত্ব আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না'': কলকাতায় দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি, দেশের ২০ টি বিরোধী দল দিল্লিতে সংশোধিক নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে বৈঠক করে এবং সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ বা এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছেন তাঁদের অবশ্যই জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ বা এনপিআরের কাজও স্থগিত করতে হবে।
এনপিআরের কাজ ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালায়। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা তাঁদের রাজ্যে এটির প্রয়োগ করবেন না।