Read in English
This Article is From Jul 25, 2019

“জয় মমতা” স্লোগানকে কেন্দ্র করে কলেজে অশান্তি, থামাতে গিয়ে আক্রান্ত শিক্ষক

ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ জড়িত থাকলে, দল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ত্রিণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। 

Advertisement
Kolkata

ধৃতরা কলেজের পড়ুয়া নন বলে জানিয়েছে পুলিশ।(ফাইল)

উত্তরপাড়া:

“জয় মমতা”(Jai Mamata) স্লোগানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্যের শিক্ষাঙ্গন। “জয় মমতা” এবং “তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ” (Trinamool Zindabad) স্লোগান দেওয়া নিয়ে কলেজের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন হুগলির নবগ্রাম হিরালাল কলেজের এক শিক্ষক। পুলিশ জানিয়েছে, যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে স্লোগান দেওয়া নিয়ে অশান্তি এবং শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে মারধর করা হয়, বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা কলেজের পড়ুয়া নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। টিভি চ্যানেলে দেখা গিয়েছ, বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কলেজের গেটের বাইরে বেরিয়ে আসছেন কলেজের শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর দিকে এগিয়ে যায় দুই যুবক। ওই ছাত্রীরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতাদের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের নামে স্লোগান দিতে অস্বীকার করেন।

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখায় খুনের হুমকি! থানায় অভিযোগ অভিনেতা কৌশিক সেনের

বেশ কিছুক্ষণ উত্তপ্ত কথা কাটাকাটির পরেই দেখা যায়, শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ঘুষি মারছে ওই দুই যুবক। এরপরেই যন্ত্রণায় মাথা চেপে ধরে বসে পডড়েন তিনি এবং ছাত্রীরা তাঁর মাথায় জল ঢালতে থাকেন। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের একটি রুমে বেশ কয়েকজন ছাত্রী সেলফি তোলার চেষ্টা করলে, অশান্তির সূত্রপাত। ওই ছাত্রীরা নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সেলফি তোলার চেষ্টা করলে ছাত্রীদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন সদস্য।

Advertisement

কলেজ সূত্রের খবর, ছাত্রীরা চলে না গেলে, তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের নামে স্লোগান দিতে বলা হয়। যদিও স্লোগান দিতে অস্বীকার করেন ছাত্রীরা। পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যরা তাঁদের হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ করেন।  

“জয় শ্রীরাম” স্লোগান দিলেই খুন করছে তৃণমূল কংগ্রেস, অভিযোগ বিজেপির

Advertisement

সেই সময় সুব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে বাইরে এলে, ফের ঘটনা মাথাচাড়া দেয়। কলেজের শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তিন-চারজন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্য আমায় শারিরীকভাবে নির্যাতন করেছে। আমি অসুস্থ এবং অপমানিত বোধ করছি। তারা সবাই আমার ছাত্র”।

অভিযুক্তদের নামে থানায় এফআইআর করেন শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। এরপরেই সন্দীপ পাল এবং বিজয় সরকার নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা কেউই হুগলির ওই কলেজের পড়ুয়া নয়।

Advertisement

“জয় শ্রীরাম” স্লোগান ভাল, কিন্তু বিজেপি যেভাবে ব্যবহার করছে সেটা নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে স্থানীয় বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, “এটা আইনশৃঙ্খলা  রক্ষার প্রশ্ন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় থানাকে অনুরোধ করেছি”। ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ জড়িত থাকলে, দল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ত্রিণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আমাদের একজন সদস্য ছিলেন, তাঁকে শিক্ষককের কাছে আসতে দেখা গিয়েছে এবং হামলাকারীকে আটকানোর চেষ্টা করছেন, তবে যে হামলা চালিয়েছে ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত করা যায়নি”।

Advertisement

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মলয় রায়। হামলার নিন্দা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়েবকুটা। এই ঘটনার প্রতিবাদে, বৃহস্পতিবার কালো ব্যাজ পড়ে কাজে যোগ দেন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কলেজের  সামনে বিক্ষোভ দেখায় ওয়েবকুটার হুগলি জেলা শাখা।প্রতিবাদে সামিল হয় জুটাও।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement