Coronavirus: পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে
হাইলাইটস
- রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে
- তবে জরুরি কিছু কাজের জন্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা দফতর খুলতে পারেন
- কলেজের হস্টেলগুলিও আগামী ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে যে শুধু রাজ্যের বিদ্যালয়গুলোই নয়, করোনা সংক্রমণের (COVID- 19) সম্ভাবনা এড়াতে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও বন্ধ থাকবে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোও। নভেল করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও যে ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই মর্মে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পাঠানো হয়েছে। তবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ যেমন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, অর্থ / পরীক্ষা বিভাগ, ইনস্টিটিউট প্রধানের দফতর খোলা রাখা যেতে পারে ২০ এপ্রিল থেকে। তবে তার জন্যে উপযুক্ত সুরক্ষা পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে হবে, জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, সাফাই বিভাগ, জল সরবরাহ, সুরক্ষা ইত্যাদির মতো জরুরি পরিষেবাও চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে লকডাউনের বিধিগুলোর মধ্যে ।
দেশে এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান মিলল: জানুন ১০ তথ্য
সরকার জানিয়েছে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলিও ২০২০ সালের ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে বিদেশি পড়ুয়া যারা দূরত্বের কারণে বা অন্য কোনও কারণে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে পারছেন না তাঁদের জন্যে মেডিকেল প্রোটোকল অনুযায়ী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে রাখার ব্যবস্থা করতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুমোদন ছাড়া হস্টেলগুলোতে থাকতে দেওয়া হবে না, স্পষ্ট করে জানিয়েছে সরকার।
লকডাউনে ঘরে চাল বাড়ন্ত, পেটের জ্বালা মেটাতে বিষাক্ত গোখরো শিকার করে রান্না!
কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের সময়কাল ১৪ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে আপাতত ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেছে, তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কবে থেকে সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নতুন ক্লাস শুরুর বিষয়টিও পিছিয়ে যাচ্ছে। যদিও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষতিপূরণ করার চেষ্টা করছে, কিন্তু যেসব পড়ুয়াদের বাড়িতে ইন্টারনেট নেই তাঁরা এই ক্লাস করতে পারছে না।