West Bengal: করোনা ভাইরাসকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয়, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
- পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে ফের একবার কেন্দ্রকে দুষলেন তিনি
- আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ লক্ষ পরিবারকে আপাতভাবে ২০ লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্য
কলকাতা: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) লাগাতার বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় রাজ্যের কোভিড- ১৯ সংক্রমণকে রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর ফের একবার জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার বদলে মানুষের জীবন বদলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। করোনা ভাইরাসকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রোগ থেকে বাঁচতে সকলকে কড়া নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অনেক জায়গাতেই মানুষ নিয়ম মানছেন না, তাই করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই ৬-৮ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যিক। রাজ্যের সব মানুষকেই এটা মেনে চলতে হবে বলে কড়া ভাষায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মাস্ক স্যানিটাইজেশন এবং হাত ধোয়া আবশ্যিক বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মমতা মন্ত্রিসভায় করোনার থাবা, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু কোভিড- ১৯ পজিটিভ
এদিকে ১ জুন থেকে রাজ্য অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে হাঁটবে বলেই উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন থেকেই রাজ্যের সমস্ত চা এবং জুট শিল্প খুলে যাচ্ছে বলেই ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি আগামী ১০ জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত অফিস পুরোদমে খুলে যাবে বলেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওদিকে ১ জুন সকাল ১০ টা থেকেই রাজ্যের সমস্ত মন্দির-মসজিদ-গির্জা খোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। তবে কোনও ধর্মস্থানেই একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ সেখানে ঢুকতে পারবেন না বলেও পরিষ্কার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার প্রভাব বাড়ছে, অমিত শাহের সঙ্গে লকডাউন নীতি নিয়ে আলোচনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব না বজায় রেখেই পরিযায়ীদের ফেরানো হচ্ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শ্রমিক স্পেশালের নামে আসলে করোনা স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে"। রীতিমতো ক্ষুব্ধস্বরে তিনি বলেন, "শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন। সেখানে তো আদৌ কোনও সুরক্ষাবিধি মানা হচ্ছে না। একটা সিটে তিন জন করে আসছেন, গাদাগাদি অবস্থা। তাহলে যদি ট্রেনে এতগুলো মানুষ গাদাগাদি করে যেতে পারে তবে কেন চায়ের দোকান, মন্দির, অফিস, জুটমিল খুলবে না? সেগুলোও তাহলে খুলুক"।
"পশ্চিমবঙ্গ গত দু'মাসে কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সফল হয়েছিল। এখন বাইরে থেকে পরিযায়ীরা রাজ্যে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে" , একথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই রাজ্যের বহু মানুষ আমফান (Cyclone Amphan) ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গৃহহারা হয়েছেন। তাই আপাতত রাজ্যের ৫ লক্ষ দুর্গত পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য করবে সরকার, পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে আরও ২৮ হাজার নিশ্চিত রোজগার পাবেন, এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে আরও ৫ লক্ষ পরিবারকে ওই সাহায্য করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে, এই আশ্বাসও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।