West Bengal: ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
হাইলাইটস
- আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন
- বন্ধ রাখা হবে হস্টেলও, পড়ুয়াদের হস্টেল খালি করার নির্দেশ
- ইউজিসির করোনা-সতর্কতা সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাওয়ার পর ওই পদক্ষেপ
কলকাতা: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রোধে সতর্ক শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাময়িক সময়ের জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেই মতো রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিও (Visva Bharati) আপাতভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে তাঁরা। পাশাপাশি বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী ছাড়া বাকি সব পড়ুয়াদের (West Bengal) হস্টেল খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শঙ্কর মজুমদার একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, "ভারত সরকারের বিভিন্ন সংস্থার করোনা সতর্কতার নির্দেশের সঙ্গে মিল রেখে, করোনা ভাইরাস (COVID-19) এর সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বভারতীর অধীনে থাকা (পাঠ ভবনের হস্টেল সহ) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হস্টেল পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে"।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৪০-৪৫ বাংলাদেশিকে আটকে দেওয়া হল ভারতীয় সীমান্তে
পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত আর একটি নোটিসে বিশ্ব ভারতী জানিয়েছে যে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণির পঠনপাঠন স্থগিত থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে না এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুরো 'আশ্রম কমপ্লেক্স' বন্ধ রাখা হবে। এমনকী এই সময়ে হবে না কোনও পরীক্ষাও। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে ঠিক হয় যে, চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত যে স্কুল পরীক্ষাগুলো নির্ধারিত ছিল তা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে৷
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য গত ৫ মার্চ ইউজিসির এক নির্দেশিকা আসে। তারপর ১৩ মার্চ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠকে বসে। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
করোনার পর এবার সোয়াইন ফ্লু, এ রাজ্যে আক্রান্ত ১৩
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ জন। ইতিমধ্যেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। তাই আপাত ভাবে সব জায়গায় করোনা-সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে ভারত সরকার।
চিকিৎসকদের মতে, সর্দি ও কাশির দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে করোনা ভাইরাস। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ন্যূনতম সংস্পর্শ রেখে না চলারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘনঘন হাত ধোয়া এবং হাঁচি বা কাশি হলে মুখ মুছতে নতুন টিস্যু ব্যবহার করার কথাও বলা হয়েছে। এর ফলে ভাইরাস সহজে ছড়িয়ে পড়বে না।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)