করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য (প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) নতুন করে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) আক্রান্ত ৮৫ জন, ফলে এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসের কবলে ৯৪০ জন, মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানাল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে মোট ১৩৪৪ জন শারিরীক অসুস্থ ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪৬ জনকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২৬৪ জনকে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য, ফলে এ রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৫৫ জনের শারিরীক পরীক্ষা করা হয়েছে, মোট ২৭৫৭১ জনের শারিরীক পরীক্ষা করা হয়েছে।
"জীবন স্বাভাবিক হয়নি", লকডাউনের বিধিনিষেধ লঘু করা প্রসঙ্গে বলল রাজ্য
এবারের করোনা পরিসংখ্যানে অজানা সংক্রমণে মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩৩ জন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার হাতে রাজ্য ও কেন্দ্র, দুই পরিসংখ্যান নেই। তবে আমরা সত্যিটা জানানোর পুরোপুরি চেষ্টা করছি। মুখ্যসচিব গতকাল জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত পরিসংখ্যান বৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি করা হয়েছে”।
করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন। তবে এবারের পর্যায়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে। বেশ কিছু এলাকায় যেখানে এখনও সংক্রমণ সেভাবে ছড়ায়নি বা অপেক্ষাকৃত কম আছে, সেখানে বিধিনিষেধ কিছুটা লঘু করা হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ লঘু করা নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগে রয়েছে।
রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৮৫, মোট সংক্রমিত ৯৪০
রাজ্যের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, কোনওভাবেই কোনও কনটেইনমেন্ট জোনে লঘু করা হবে না লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা। রাজ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, "জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। রাজ্যে লকডাউন ১৭ মে পর্যন্তই জারি থাকবে"। তবে তিনি জানিয়েছেন যে, কিছু কিছু মিষ্টির দোকান, চায়ের স্টল এবং পানের দোকানগুলো সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
তবে এই দোকানগুলিতে কোনওভাবেই কোনও ভিড় করা যাবে না বা আড্ডার ঠেক বসানো যাবে না।