সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, অন্য রাজ্যের তুলনায় এরাজ্যে করোনা পরীক্ষা অনেক কম হচ্ছে।
বাংলায় (West Bengal) কোভিড-১৯-এর (COVID-19) পরীক্ষা আরও বেশি করে করা হোক। এমনই দাবি জানালেন রাজ্যের সিপিআই(এম) (CPIM) নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjyakanta Mishra)। রাজ্যের করোনা আক্রান্ত বা করোনায় মৃতের সংখ্যার হিসেবে স্বচ্ছতা রাখছে না রাজ্য সরকার— রবিবার এই অভিযোগ করলেন তিনি। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, অন্য রাজ্যের তুলনায় এরাজ্যে করোনা পরীক্ষা অনেক কম হচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘পলিমারাইজ চেইন রিঅ্যাকশন' ও র্যাপিড টেস্ট আরও বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে করতে হবে। তাহলেই বোঝা যাবে রাজ্যে রোগের সংক্রমণ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। দলের সদর দফতর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘এমনকী রাজ্য সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটিও বিপুল পরিমাণে পরীক্ষার কথা বলেছে।''
করোনার সঙ্গে লড়তে এক মাসের সন্তান কোলে কাজে ফিরলেন আইএএস আধিকারিক, ছবি ভাইরাল
কেরল করোনা মোকাবিলায় চমৎকার কাজ করেছে এই দাবি জানিয়ে সূর্যকান্ত বলেন, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় করোনা পরীক্ষা অনেক কম হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন এই অসুখে এবং কোথায় ও কোন জেলায় কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন সে সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকা উচিত। যাতে সাধারণ মানুষ ওই সব অঞ্চল সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।'' তিনি আরও বলেন, যে সংখ্যা রাজ্য সরকার বলছে সেই সংখ্যা অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত সংখ্যার থেকে আলাদা।
২ ব্যক্তির শরীরে প্রথম দু'বার নেগেটিভ হলেও তৃতীয়বারের পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ!
রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন মারা গিয়েছেন। এর সঙ্গে রয়েছে এমন মৃত্যুও, যেখানে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে অন্যান্য রোগের উপসর্গও রয়েছে। একে ‘কো মর্বিডিটি' বলে। এ প্রসঙ্গে সূর্যকান্ত মিশ্র জানাচ্ছেন, ‘‘কো মর্বিডিটি অর্থে কোনও ব্যক্তির অন্য অসুখ রয়েছে। কিন্তু তাতেও তাঁর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণই জানাতে হবে।''
তিনি আরও বলেন, এটা জানা গিয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অ্যাস্থমা থাকলে সেই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। তাই সরকারের আরও সতর্ক থাকা উচিত। তিনি দাবি করেন, যে অঞ্চলে এই অসুখের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে সেই সব অঞ্চলে র্যাপিড টেস্ট করতে হবে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষ ও বেসরকারি ক্ষেত্রের শ্রমিকদের কথা এই লকডাউনের সময় ভাবতে হবে সরকারকে। তাঁর দাবি, ‘‘এই সব মানুষগুলিকে ৫,০০০ টাকা করে দিতে হবে কেন্দ্রের জনধন যোজনা থেকে। পাশাপাশি এঁদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।''
নিজামুদ্দিনের ঘটনাকে সামনে রেখে অনেকেই সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করছেন বলে জানিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কী করে এমন এক অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা উচিত।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)