West Bengal: করোনা পরিস্থিতিতে এখন অনলাইনেই চলছে পড়াশুনো
হাইলাইটস
- করোনা পরিস্থিতি জোর দেওয়া হয়েছে অনলাইন পড়াশুনোয়
- তার জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল ডিভাইসের
- রাজ্যের কতজন পড়ুয়ার কাছে এই সুবিধা আছে তা জানতে চাইলো শিক্ষা দফতর
কলকাতা: রাজ্যের (West Bengal) ঠিক কতজন ছাত্রছাত্রীর কাছে ডিজিটাল পরিষেবা ব্যবহারের সুবিধা (Digital Device) আছে, এবিষয়ে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের কাছে একটি হিসেব চাইলো পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department)। সমস্ত বিদ্যালয়কেই এই নির্দেশ পাঠিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি চিঠির মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোতে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ, কম্পিউটার ব্য়বহারকারী পড়ুয়াদের মোট সংখ্যা বা শতাংশের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে। "আপনাদের বিদ্যালয়ে ঠিক কতজন শিক্ষার্থীর কাছে ডিজিটাল ডিভাইস (স্মার্টফোন / কম্পিউটার / ল্যাপটপ) আছে তার একটি শতাংশের হিসাব আমাদের পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে", জানানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিসংখ্যান পাঠাতে হবে।"
এবিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বুধবার বলেন, "আমাদের বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে ৭০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশের কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে এবং আমরা কিছুদিন আগেই শিক্ষা দফতরে এনিয়ে একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছি।" তিনি আরও বলেন, বাকি ২০-৩০ শতাংশ পড়ুয়াদের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পড়ানোর অডিও ক্লিপ তৈরি করে বিদ্যালয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হচ্ছে যেখান থেকে যাঁদের স্মার্টফোন নেই তাঁরা পয়েন্টগুলো নোট করতে পারবে।
"শুধু তাই নয়, আমরা অ্যান্ড্রয়েড সেট না থাকা পড়ুয়াদের জন্যও স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি। এছাড়া আমরা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম অনুসরণ করে পড়ুয়াদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে পড়ানোর বিষয়েও ভাবতে পারি", বলেন তিনি।
ভট্টাচার্য আরও বলেন, তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকার জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা।
এক স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, শহরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্তত ২০ টি বিদ্যালয় জানিয়েছে যে, তাঁদে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীদের কাছেই স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট আছে।
"মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ডিজিটাল বিভেদ কমিয়ে প্রতিটি পড়ুয়ার কাছে এই সুবিধা পৌঁছানোর বিষয়ে বারবার জোর দিয়েছেন। ঠিক কতজনের এই ডিজিটাল ডিভাইস (Digital Device) আছে সে সম্পর্কে আমরা যদি সঠিক ধারণা পাই তবে আমরা সেই অনুযায়ী পরবর্তী কৌশল তৈরি করতে পারি এবং বিদ্যালয়গুলিকে সেগুলো নিজস্ব উপায়ে অনুসরণ করার পরামর্শও দিতে পারি", বলেন ওই আধিকারিক।