This Article is From Jan 01, 2020

দীর্ঘ সময়ের বাগযুদ্ধের শেষে মুখোমুখি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপাল

শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক অনুষ্ঠান বাতিল ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিয়ে আলোচনা করেন।

দীর্ঘ সময়ের বাগযুদ্ধের শেষে মুখোমুখি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপাল

রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বৈঠকটি ছিল ‘‘অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ’’।

কলকাতা:

রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গত কয়েক মাসের বাগযুদ্ধের পর অবশেষে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ হল রাজ্যপালের। শিক্ষামন্ত্রী এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক অনুষ্ঠান বাতিল ও কোনও কোনও স্থানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিয়ে আলোচনা করেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। ঘণ্টাখানেকের বৈঠক শেষে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বৈঠকটি ছিল ‘‘অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ''। গত ২৮ ডিসেম্বর রাজ্যপাল একটি চিঠি টুইট করেন। চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা। রাজ্যপাল দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওই চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যেহেতু বিষয়টি শিক্ষা দফতর সংক্রান্ত, তাই তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠিটি দিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করার জন্য তাঁকে বলেছেন।

লর্ড কার্জনের টেবিলকে "মর্যাদাপূর্ণ" আখ্যা দিয়ে নেটিজেনদের রোষে রাজ্যপাল

এরপর টুইটারে বাগযুদ্ধ শুরু হয় রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীর। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্প্রতি রাজ্যপালকে ঘিরে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তা নিয়েই এই বাগযুদ্ধ হয়।

শিক্ষামন্ত্রী টুইটারে দাবি করেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত, তাই সেখানে সচরাচর রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করে না। তিনি জানান, যে সমস্ত অনুষ্ঠান হয়, সেগুলির আয়োজন বা বাতিলের সিদ্ধান্ত উপাচার্যের সিদ্ধান্তের উপরে ‌নির্ভরশীল।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের ক্ষমতা ছাঁটে রাজ্য সরকার। চালু করে বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম। সেই নতুন নিয়ম অনুসারে আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের সরাসরি কোনও উপদেশ দিতে পারবেন না তিনি।

রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত শুরু হয় গত সেপ্টেম্বরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কিছু সংখ্যক পড়ুয়া দ্বারা ঘেরাও হলে তাঁকে উদ্ধার করতে সরাসরি সেখানে উপস্থিত হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থন করেন রাজ্যপাল, যেখানে ওই আইনের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল সরকার। গত ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কর্মীদের ইউনিয়ন কর্মীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকেই ফিরে আসতে রাজ্যপালকে। ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের পড়ুয়ারা রাজ্যপালকে চিঠি পাঠায়। তাতে স্পষ্ট জানানো হয়, ‘‘স্যার, আপনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে স্বাগত নন।''

.