This Article is From Feb 20, 2019

যাদবপুরে উপাচার্য নিগৃহীত, তদন্ত হবে, জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

বুধবার সকালে সুরঞ্জন দাসকে হাসপাতালে দেখতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান, ঘটনাটির তদন্ত করে দেখা হবে।

Advertisement
Kolkata

বুধবার সকালে সুরঞ্জন দাসকে হাসপাতালে দেখতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। (ছবি প্রতীকি)

কলকাতা:

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, "যেভাবে বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে ‘মারধর এবং ধস্তাধস্তি করেছে' এবং তার ফলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে উপাচার্যকে, তার তীব্র নিন্দা করছি"। বুধবার সকালে সুরঞ্জন দাসকে হাসপাতালে দেখতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান, ঘটনাটির তদন্ত করে দেখা হবে। তাঁর কথায়, “আমরা ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ চেয়েছি। যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে, তার নেপথ্যে কা বা কারা রয়েছে, তা আমরা জানতে চাই। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এখনও হতচকিত হয়ে রয়েছেন”। উপাচার্যকে ‘মৌখিকভাবেও হেনস্তা করা হয়েছে' বলে দাবি করে পার্থ বলেন, "পুরো ঘটনাটাই আমার কানে এসেছে। আমি নিশ্চিতভাবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ খবর মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। এইভাবে কিছুতেই চলতে পারে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সকলের গর্ব"।

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, নিগৃহীত হলেন উপাচার্য

ফের তুমুল বিক্ষোভে মঙ্গলবার উত্তাল হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। মঙ্গলবার ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার জন্য পড়ুয়াদের দাবিতে বৈঠকে বসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা কার্যনির্বাহী পরিষদ। এছাড়া, সিসিটিভি বসানোর দাবিতেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচন বলে এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্ত শোনার পর যেন বিক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে! বৈঠক শেষ করে নিজের গাড়িতে উঠতে গেলে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে বাধা দেন পড়ুয়ারা। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, উপাচার্যকে রীতিমত নিগ্রহ করা হয়।

Advertisement

অভিযুক্ত কনক সরকার আপাতত প্রবেশ করতে পারবেন না ক্যাম্পাসে, জানিয়ে দিল যাদবপুর

ক্ষোভে, বিরক্তিতে ফেটে পড়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস গতকাল বলেন, “আমি অত্যন্ত অপমানিত। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা যে আমার সঙ্গে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ঘটাবে, তা ভাবতেই পারিনি। আমি এখন হাসপাতালে যাচ্ছি। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলতে চাই, এটা জানানোর পরেও আমার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা হয়। জোরে ধাক্কা দেওয়া হয় আমাকে। রাস্তা আটকানোও হয় আমার”।

Advertisement

মেয়েদের নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট অধ্যাপকের, পরে মুছলেন নিজের পোস্ট

অন্যাদিকে, আর্টস ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্ট ইউনিয়নের এক সদস্য দেবরাজ দেবনাথ বলেন, "উপাচার্যের নিরাপত্তারক্ষীরাই আমাদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করেন। মহিলাদের গায়েও হাত দেন তাঁরা। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তার বদলে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে মার খেয়ে আহত হতে হল"।

Advertisement

তাঁর কথায়, "শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এর আগেও অনেক বৈঠক হয়েছে। তবু এই ইস্যুটিকে উপাচার্য এড়িয়েই যাচ্ছিলেন। আজ যখন আমরা প্রশ্ন করতে গেলাম, তখন তিনি রীতিমত পালিয়ে গেলেন"।

শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, তার দিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নজর রাখতে বললেন রাজ্যপাল

Advertisement

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেছিলেন, "অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এই ঘটনা। পড়ুয়াদের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। পড়ুয়াদের বুঝতে হবে যে, এইভাবে অশান্তির সৃষ্টি করে কোনও ফলাফলে পৌঁছনো যাবে না। তার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার দিকে নজর দিতে হবে। বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নয়"। 

  

Advertisement