West Bengal Election Results 2019 Live Updates:রাজ্যে কে হাসবে শেষ হাসি?
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচন (West Bengal Election Results 2019) এবার সমস্ত দিক থেকেই ছিল বিশেষ। এবার বাংলার মানুষ কাকে বেছে নিচ্ছেন তার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। বামেদের (left party) সাড়ে তিন দশকে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) লোকসভা নির্বাচন (general election 2019) নিয়ে দেশে এত বিপুল আগ্রহ তৈরি হওয়ার কোনও সুযোগই ছিল না। তার কারণ ওই সময় চিরকাল বাম দলগুলি পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2019) দারুণ ফল করত।বস্তুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর হওয়া ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচন বাদ দিলে ২০০৯ পর্যন্ত বিরোধীদের ফল যথেষ্ট খারাপ হয়েছে বাংলায়। কিন্তু বাংলায় যে পরিবর্তন হতে চলেছে সেই আভাস মিলেছিল ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেই। এগিয়ে থাকার নিরিখে তৃণমূলকে পেছনে ফেলল বিজেপি
কংগ্রেসের (congress) সঙ্গে জোট করে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের চমকে দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।কার্যত সেই সময় থেকেই স্পষ্ট হচ্ছিল এবার হয়তো বাংলায় পালাবদলের পালা আসছে। শেষমেষ ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয় বামেরা।২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2014) নিয়ে এতটা উত্তাপ ছিল না। কিন্তু এবার এ রাজ্যের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) বাংলায় আসন সংখ্যা বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে থাকায় পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।৪২টি আসনের মধ্যে পদ্ম শিবির কটি পাবে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার গড় বলছে অন্তত ১৩টি আসনে পদ্ম ফুটতে চলেছে বাংলায়।
তৃণমূল অবশ্য এই সমীকরণ বা পূর্বাভাস মানতে রাজি নয়। তাদের স্পষ্ট কথা বাংলার মানুষ আবারও তৃণমূলেরউপরই আস্থা রেখেছেন। এটাও ঠিক লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল।তাছাড়া সাত পর্বের প্রতিটিতেইপ্রবল বিক্রমে প্রচার করেছেন তৃণমূল নেত্রী।রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এবারই প্রথম লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী ১৯ বার এলেন রাজ্যে। গত সাত দশকে এমন ঘটনা কখনও ঘটেছে বলে রাজনৈতিক বোদ্ধাদেরও জানা নেই। তাছাড়া বিজেপি সভাপতি থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের তাবড় নেতারা নিয়মিত সভা করে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে।স্বভাবতই ৪২টির মধ্যে বিজেপি কটি দখল করতে পারে তা জানতে আগ্রহের অন্ত নেই রাজনৈতিকগবেষক থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
আবার ভারতের জয় হল, ফলাফল প্রসঙ্গে টুইটে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
টুইট করে জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ফলাফলের খবর আসতেই উৎসবে মেতে ওঠেন বিজেপি সমর্থকরা।
জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে তিনি বলেন, যারা জিতেছেন তাঁদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের ফলাফল কী হল তা আমরা খতিয়ে দেখব।
বাংলায় ২৪টি এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি ১৬টিতে একটিতে অনান্যরা এগিয়ে আছে।
কী বলছে বাংলা? দেখুন এই মুহূর্তে কে কোথায় দাঁড়িয়ে?
শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে আবারও এগিয়ে গেলেন বিজেপির দেবজিৎ সরকার।
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই হচ্ছে সমানে সমানে। এই মুহূর্তে ৬০৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের মানস ভুঁইয়া।
ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতা প্রকাশ হতেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সাংসদ রুপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের ফল থেকে স্পষ্ট মানুষ তৃণমূলের হাত থেকে মুক্তি চাইছে। ভোট যদি সুষ্ঠু ভাবে হত তাহলে বিজেপির আসন ৩০ হত বলে মনে করেন রূপা।
প্রথম রাউন্ডের শেষে কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোচবিহার কেন্দ্রেও জোরদার লড়াইয়ের ইঙ্গিত। বিজেপির নীশিথ প্রামানিককে টপকে এগিয়ে গেলেন তৃণমূলের পরেশচন্দ্র অধিকারী।
তৃণমূলের মানস ভুঁইয়াকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন বিজেপির চন্দ্র বসু।
বিজেপির নীলাঞ্জন রায়কে পেছনে ফেলে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেশ কিছুটা সময় পিছিয়ে থাকার পর বালুরঘাট আসনে এগোলেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ।
কয়েকটি আসনে কিছুটা রদবদলের ইঙ্গিত মিলল। আরামবাগ আসনে পিছিয়ে গেল বিজেপি। এগোলেন তৃণমূললের অপরূপা পোদ্দার।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে পিছিয়ে আছেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপির ভারতী ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে ১৬টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩ টি আসনে। এগিয়ে থাকার নিরিখে এখনও খাতাই খুলতে পারেনি বামেরা।
অনুব্রত গড়ে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল। এই বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ভোটের সময়। সকালে গণনা শুরুর সময় অবশ্য এগিয়ে ছিলেন তৃমূলের অসীত মাল।
বাংলায় ২০ টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল।
যাদবপুরে এগিয়ে রয়েছেন মিমি চক্রবর্তী, কৃষ্ণনগরে এগিয়ে বিজেপির কল্যাণ চৌবে।
ঘনঘন ফল বদলাচ্ছে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে। এগিয়ে গেলেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
টানটান লড়াই হচ্ছে হুগলি কেন্দ্রে। এতক্ষণ এগিয়ে ছিলেন তৃণমূলের রত্না দে নাগ। এবার এগিয়ে গেলেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বাঁকুড়ায় পিছিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এগিয়ে আছেন বিজেপির সুভাষ সরকার।
একেবারে শেষ মুহুর্তের আপডেট বলছে রাজ্যের এখন ২২ টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। ৬ টি আসনে এগিয়ে আছেন বিজেপির প্রার্থীরা
বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে এগিয়ে গেলেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার। এই আসনটি তৃণমূলের দখলে ছিল গতবার। জিতেছিলেন অর্পিতা ঘোষ।
ঠিক এই মুহূর্তে বাংলার ভোট চিত্র কেমন ? দেখুন গ্রাফিক্সে
ভোট প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছেও ব্যারাকপুর আসন নিয়ে। সেখানে এগিয়ে আছেন বিজেপির অর্জুন সিং।
আসানসোল কেন্দ্রের প্রাথমিক ফল পাওয়া গিয়েছে। এগিয়ে আছেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে বহরমপুর কেন্দ্র থেকে এগিয়ে গেলেন কংগ্রেসের চারবারে সাংসদ অধীর চৌধুরি।
রাজ্যের ৪২টির মধ্যে ২১টি কেন্দ্রের প্রাথমিক প্রবণতা এসে পৌঁছেছে। ৮ টি আসনে এগিয়েছে তৃণমূল। ৪ টি আসনে এগিয়ে আছেন বিজেপির প্রার্থীরা। কংগ্রেস এগিয়ে ৩ টি আসনে।
কোচবিহার কেন্দ্র থেকে এগিয়ে গেলেন বিজেপির নীশিথ প্রামানিক।
আলিপুরদুয়ারে এগিয়ে জন বারলা, বহরম পুরে এগিয়ে অপূর্ব সরকার। দার্জিলিঙে এগিয়ে বিজেপির রাজু বিস্তা, ঘাটাল কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন দীপক অধিকারী।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী রাজ্যের ৬ টি কেন্দ্রে এগিয়ে আছে তৃণমূল। পাঁচটিতে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে দুটি আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের আর দুটি আসনের প্রাথমিক প্রবণতা এসে পৌঁছেছে। তাতে এগিয়ে কংগ্রেস।
বাংলায় ৭ টি আসনের প্রাথমিক প্রবণতা পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে চারটি আসনে তৃণমূল এগিয়ে ৩টি।
বাংলায় ৭ টি আসনের প্রাথমিক প্রবণতা পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে চারটি আসনে তৃণমূল এগিয়ে ৩টি।
বাংলায় তিনটি আসনে এগিয়ে বিজেপি। তৃণমূল এগিয়ে দুটি আসনে।
সারা দেশের মতো রাজ্যেও ভোট গণনার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গোনা হচ্ছে। তারপর ইভিএম গোনা হবে। একদম শেষে হবে ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখার কাজ।
ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরে পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্ত। নির্বাচনের আগের রাতেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া ভোটের দিন একাধিক সংঘর্ষ অভিযোগও ওঠে গোটা ভাটপাড়া জুড়ে।কাঁকিনাড়া থেকে শুরু করে ভাটপাড়ার বিভিন্ন জায়গায় বোমা পড়তে থাকে।বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কিন্তু তবু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে না। এভাবে রবিবার ভোট পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পরও শান্ত হয়নি ভাটপাড়া। আর তাই সোমবার ভাটপাড়া জুড়ে 144 ধারা জারি করে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোট ২০০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন আছে গণনার জন্য। হার জিতের ফলাফল আসতে শুরু করার পরও যাতে কোনও গোলমাল না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।
সাত দফা ভোট মেটার পরও রাজ্যের একাধিক জায়গায় গোলমাল হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাসক- বিরোধী দুপক্ষই। আর তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়ার দাবিও উঠেছে।
এ রাজ্য থেকে ২৩টি আসন জয়ের আশা করছে বিজেপি। দলের সভাপতি অমিত শাহ সেই লক্ষ্যমাত্রাই দিয়েছেন। প্রথম থেকে সেভাবেই কাজ করে চলেছে বিজেপির বঙ্গজ নেতারা। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মনে করেন বাংলায় তৃণমূলের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি।
সাত দফা ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলায় এবার বিজেপি দারুণ ফল করতে পারে। কিন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন তিনি বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিশ্বাস করেন না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। নির্দিষ্ট পরিচয় পত্র ছাড়া কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাজ্যের মোট ৫৮টি কেন্দ্রে ভোট গণনা হবে। সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রে পৌঁছে যাচ্ছেন আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্ট। পাশাপাশি নিরাপত্তা জনিত সমস্যা যাতে না হয় সেটাও দেখছে প্রশাসন।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট গণনা পর্ব যাতে ভালভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য ২৫ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। আছেন আরও ২৫ হাজার আধিকারিক। তাঁরাই করবেন গণনার কাজ। এবার সাত দফায় রায় দিয়েছে বাংলা।
টান টান উত্তেজনায় মিটেছে পশ্চিমবঙ্গের ভোট পর্ব। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে গণনা। প্রথম থেকেই বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি।