আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। (ফাইল ছবি)
কলকাতা: হু আর আইসিএমআর গাইডলাইন মানছে না রাজ্য। এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সিপিআইএম নেতা পেশায় চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম এই মামলা করেছেন। শুনানিতে গত ১৭ এপ্রিল আদালতের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। শুক্রবার অর্থাৎ ২৪ এপ্রিলের মধ্যে জমা করতে হতো সেই হলফনামা। কিন্তু বৃহস্পতিবার নির্দেশ মেনে সেই হলফনামা (Bengal filed affidavit) দাখিল করল রাজ্য। কী পন্থা ও পদ্ধতি মেনে সংক্রমণ প্রতিরোধে এগিয়েছে রাজ্য, তার বিস্তারিত এদিন জমা করা হলফনামায় উল্লেখ। বৃহস্পতিবার জানিয়েছে নবান্নের একটা সূত্র। যদিও এদিন রাজ্যের আবেদন মেনে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
এদিকে, আগামী শুনানিতে পাল্টা হলফনামা দাখিলের পরিসর দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকে। এমনটাই আদালত সূত্রে খবর। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল বিতণ্ডায় বেশ সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একজন ‘মনোনীত' ব্যক্তিত্ব। তিনি অসাংবিধানিক আচরণ করে একজন ‘নির্বাচিত' প্রতিনিধিকে অপমান করেছেন। এইভাবেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। তিনি রাজ্যপালকে একটি পাঁচ পাতার চিঠি লিখেছেন। গত বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। গত ক'দিন ধরে সেই সংঘাত অন্য চেহারা নিয়েছে। সম্প্রতি তিনি টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল রাজ্যে লকডাউনের নিয়ম ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে এলে যেন তাদের কোনও বাধার মুখে পড়তে না হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, রাজ্যপাল তাঁকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়েছেন এবং সাংবিধানিক ধর্ম ও শালীনতার স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন।অন্যদিকে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করবেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। লকডাউন আরও বাড়ানো উচিত কিনা এই নিয়ে হবে বৈঠকটি। এর আগে বৃহস্পতিবার NDTV-কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তৃণমূল নেত্রী ও সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি মনে করেন লকডাউন ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া উচিত। ৪ মে থেকে পরবর্তী দু'সপ্তাহের মধ্যে লকডাউন তুলে নেওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে তাঁর কাছ থেকে লকডাউন সম্পর্কে মতামত চাওয়া হলে তিনি তা দেবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রী ও একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি মনে করেন, লকডাউনের মেয়াদ আর না বাড়িয়ে তা তুলে নেওয়া উচিত।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)