This Article is From Dec 17, 2019

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়!

West Bengal:"আপনার ঘন ঘন টুইট ও সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকার তথা উর্ধ্বতন আধিকারিকদের কাজের সমালোচনা করা দেখে আমি সত্যিই দুঃখিত", বলেন মুখ্যমন্ত্রী

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়!

Citizenship Amendment Act: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সাহায্যে অমুসলিমদের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পাওয়া সুবিধাজনক হবে

হাইলাইটস

  • নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ফের রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী বাগযুদ্ধ
  • রাজ্যপালের সমালোচনামূলক টুইটে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
  • পাল্টা চিঠি দিয়ে নিজের উষ্মা প্রকাশ করলেন রাজ্যপালও
কলকাতা:

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (Citizenship Amendment Act) কেন্দ্র করে ফের একচোট উত্তপ্ত বাক বিনিময় হয়ে গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। এর আগে রাজ্যপাল পরিস্থিতি "উত্তেজক" না করে শান্তি বজায় রাখতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) প্রতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি জনস্বার্থে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজ্য (West Bengal) জুড়ে চলমান বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পুলিশের মহানির্দেশক এবং মুখ্যসচিবকে তলব করেন। কিন্তু তাঁরা দুজনে কেউই রাজ্যপালকে এ সম্পর্কে কিছু না জানালে, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে জানাতে বলেছিলেন। এই ঘটনায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজ্যপালকে (Jagdeep Dhankhar) চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যেভাবে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করছেন জগদীপ ধনখড়, সেই প্রসঙ্গে তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, "আপনার ঘন ঘন টুইট এবং সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের উর্ধ্বতন আধিকারিকদের কাজের সমালোচনা করা দেখে আমি সত্যিই দুঃখিত"।  "আপনি নিঃসন্দেহে তারিফ না করে পারবেন না যে, বর্তমানে সারাদেশে যা চলছে তার থেকে অনেক শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে পেরেছে রাজ্য প্রশাসন", বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তলব পেয়েও এলেন না মুখ্য সচিব ও ডিজিপি, ‘‘হতভম্ব'' রাজ্যপাল ডাক পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রীকে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "আমার মতে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে এমন কোনও বিষয়কে উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত করার পরিবর্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য রাজ্য সরকারের তথা প্রশাসনকে সাহাষ্য করবেন আপনি, দয়া করে শান্তি বজায় রাখতে সহযোগিতা করুন"।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পাল্টা উত্তর দিয়েছেন রাজ্যপালও। "আমি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এবং বর্তমান যে পরিস্থিতি রাজ্যে চলছে তার বিরুদ্ধে আমি সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি জনগণ ও সরকারকে শান্তি বজায় রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করার জন্য অসংখ্যবার আবেদন জানিয়েছি", বলেন তিনি।

তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীরা তাঁকে যে ধরণের ''অপমান'' করেছেন সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল লেখেন যে তাঁর সাংবিধানিক অবস্থান নিয়ে বারবার "আপোষ" করা হয়েছে। "এমনকি রাজ্যের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি সম্পর্কেও, রাজ্য সরকার আমাকে কখনও সাময়িকভাবে হলেও কোনও কিছু অবহিত করেনি", বলেন তিনি । তিনি পুরনো তিক্ততার পথে হাঁটতে রাজি নন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাজ্যপাল বলেন যে, জনগণের স্বার্থে এবং রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৃহত্তর জনস্বার্থে কাজ করতে চান তিনি ।

গত জুলাইয়ে রাজ্যপাল পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বেশ কিছু ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবারও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সমাবেশ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে "অসাংবিধানিক ও উস্কানিমূলক" কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। 

এদিকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি প্রয়োগ করতে হলে তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়েই করতে হবে।

‘‘ক্যাব-এনআরসি করতে হলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে'': মুখ্যমন্ত্রী

ধনখর রবিবার বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করা হবে না বলে প্রচার করছেন তা সম্পূর্ণ "অসাংবিধানিক" এবং সরকার এই ধরণের প্রচারের জন্য জনসাধারণের অর্থের অপ-ব্যবহার করতে পারেন না।

এদিকে রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করবেন বা করবেন না সে সম্পর্কে অন্য কারুর বক্তব্য রাখা বন্ধ করা উচিত। তাঁর (রাজ্যপাল) সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করা উচিত নয়", বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে কারণ তিনি কেবল মুখ্যমন্ত্রীই নন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমোও বটে।"

দেখে নিন এই ভিডিও:



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.