৮ এপ্রিল এই মর্মে আবেদন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
কলকাতা: দিল্লির পথে হেঁটে অভিভাবকদের সুরাহা দিতে এবার উদ্যোগী হল পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Government)। ফি বাড়ানো যাবে না এই মর্মে বার্তা পাঠানো হবে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলোকে। দিন কয়েক আগে এই বিষয়ে অনুরোধ করে স্কুলগুলোকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সেই অনুরধের কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাই ফের একবার স্মরণ করিয়ে দিতে শিক্ষা দফতরের (School Education department on Fee hike) এই উদ্যোগ। শনিবার এমনটা জানিয়েছেন শিক্ষা দফতরের এক কর্তা। টিউশন ফি'র বাইরেও নানা খাতে অভিভাবকদের থেকে ফি নিয়ে থাকে স্কুলগুলো। সেই অতিরিক্ত খাতে যাতে অর্থ তোলা না হয়, সেই মর্মেও বার্তা পাঠাচ্ছে শিক্ষা দফতর। এই সঙ্কটের (Coronavirus Lockdown) মুহূর্তে ফি বৃদ্ধি করে চলেছে বেসরকারি স্কুলগুলো। এই মর্মে একাধিক অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়েছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ৮ এপ্রিল বেসরকারি স্কুলগুলোর কাছে ফি না বাড়াতে দরবার করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার দু'দিন পর স্কুলশিক্ষা দফতর এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে। কিন্তু মেলেনি কোনও সদুত্তর।
২০ এপ্রিল থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ শুরু, দেখুন সেই কেন্দ্রীয় তালিকা
এদিকে, করোনা সংক্রমণ আর লকডাউনের আবহে অভিভাকদের সুরাহা দিতে উদ্যোগ নিল দিল্লি সরকার। শুক্রবার রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া শিক্ষাখাতে একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন। সেই ঘোষণায় বলা, "বেসরকারি স্কুল বার্ষিক ফি বাড়াতে পারবে না। নিতে পারবে না একমাসের বেশি মাসিক ভাতা। পাশাপাশি মকুব করতে হবে পরিবহণ ভাতা।" এদিন অনলাইনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মণীশ সিসোদিয়া। তিনি দিল্লি সরকারের শিক্ষামন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্বে।
চিনকে আটকাতে, এফডিআই নীতিতে বদল কেন্দ্রের
এই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বেসরকারি স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেন, "আমাদের কাছে এই স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে। এখন স্কুল বন্ধ, তাও নেওয়া হচ্ছে পরিবহণ খাতে ফি। সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বার্ষিক ফি। কেউ কেউ আবার তিন মাসের ফি পরিশোধে বাধ্য করছে অভিভাবকদের।" তাঁর আরও দাবি, "যে সব অভিভাবকরা টিউশন ফি দিতে পারছেন না, সেই পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।তাই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্দেশ দিয়েছেন এসব বন্ধ করতে হবে। সরকারি জমিতে চলা বেসরকারি স্কুল কিংবা নিজস্ব জমিতে চলা বেসরকারি স্কুল; সব স্কুলকেই এই সিদ্ধান্ত মানতে হবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে বাড়াতে পারবে না বার্ষিক ফি।"