West Bengal: নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস
- এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ আদালতের
- পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ওই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে প্রয়োগ হবে না এনআরসি ও সিএএ
কলকাতা: রাজ্যে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) প্রয়োগ হবে না, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, বাংলায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি কোনওটাই প্রয়োগ করা হবে না। এই ঘোষণা সম্বলিত সমস্ত বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে, স্পষ্ট জানালো কলকাতার উচ্চ আদালত। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ-আন্দোলন চলছে। এরই মধ্যে এই সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে প্রচারিত ওই বিজ্ঞাপন বন্ধের জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরেই ওই নির্দেশ দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণান ও বিচারপতি রাধাকৃষ্ণানের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওই আদেশ দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, তাঁর সরকার নাগরিকত্ব বিষয়ে নতুন আইন এবং জাতীয় নাগরিক নিবন্ধীকরণ বা এনআরসি পশ্চিমবঙ্গে বাস্তবায়িত করবেন না। সম্প্রতি দেশের অ-মুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যেই ওই আইন আনে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির অন্যান্য মন্ত্রীরা বলেছেন যে, কেন্দ্র দেশ জুড়ে এটি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। এদিকে অসমে ইতিমধ্যেই এনআরসির প্রয়োগ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘ নিয়ে মন্তব্য "প্রত্যাহার" করুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করলেন রাজ্যপাল
রাজ্য সরকারের হয়ে এই মামলায় সওয়াল করা প্রধান আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, আপাতত বিজ্ঞাপনগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; তবে আবেদনকারীদের হয়ে পাল্টা সওয়াল করে তাঁদের আইনজীবী বলেন যে এখনও বিজ্ঞাপনগুলি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে।
আগামী ৯ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
সোমবারই কলকাতায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বিজেপি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। এই জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা বিজেপি সাংসদ জেপি নাড্ডার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবারই দিল্লিতে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার শুরু করার সময় এনআরসি নিয়ে দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করেন।
'প্রতিবাদ থামান, শীর্ষ আদালতের কথা শুনুন': নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বললেন রাজ্যপাল
"আমি ভারতের ১৩০ কোটি নাগরিককে বলতে চাই যে আমার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০১৪ সাল থেকে এনআরসি নিয়ে কোথাও কোনও আলোচনা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরেই অসমে এর খসড়া তৈরি করা হয়", বলেন তিনি।
সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রাপ্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এনআরসির পাশাপাশি এই আইনের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশ।