Naihati Explosion: নৈহাটিতে বাজি বিস্ফোরণের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, বলেন রাজ্যপাল
হাইলাইটস
- বৃহস্পতিবার বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে নৈহাটি
- বাজি বিস্ফোরণ-অবৈধ বাজি কারখানার বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, বলেন রাজ্যপাল
- রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি
কলকাতা: নৈহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Naihati Explosion) সঠিক এবং বিস্তারিত তদন্তের পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত বাজি নিষ্ক্রিয় করছিল পুলিশ। সেই সময়েই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে (Firecracker Explosion) কেঁপে ওঠে নৈহাটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই ঘটনা প্রসঙ্গেই রাজ্যপাল বলেন, এক সপ্তাহ আগেই নৈহাটির দেবক এলাকায় একটি অবৈধ বাজি কারখানায় আরেকটি বিস্ফোরণ হয়, যাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়, এই ঘটনা গোটা রাজ্যের পক্ষেই আশঙ্কার। । ধনখড় বলেন, রাজ্যে (West Bengal) এই ধরণের অবৈধ বাজি কারখানা কারা চালাচ্ছিল এবং এর ফলে কারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছিল বিস্তারিত তদন্ত করে সেই দোষীদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। "এই ধরণের বিস্ফোরণ পশ্চিমবঙ্গের শান্তি পরিস্থিতির ক্ষেত্রে যথেষ্টই আশঙ্কার। বিস্ফোরণের ঘটনাগুলির অবশ্যই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে যাঁরা এই অবৈধ বাজি কারখানা থেকে লাভবান হচ্ছিলেন",একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)।
বাজি নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চুঁচুড়া সহ নৈহাটি অঞ্চল, ফাটল বাড়িতে
"আমাদের এটাও খুঁজে বের করতে হবে যে কারা এই ধরণের অবৈধ বাজি কারখানা চালানোর জন্যে প্ররোচিত করেছিল। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সামাজিক পরিচয় নির্বিশেষে তাঁদেরকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন ... তবেই সমাজে শান্তি ফিরে আসবে", বলেন জগদীপ ধনখড়।
উদ্ধার হওয়া বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রামঘাট সহ নৈহাটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল । জানা গেছে, ওই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে স্থানীয় কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরেই উত্তেজিত জনতা পুলিশ ভ্যান সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনে লাগিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণে নৈহাটির রামঘাট এলাকার তিন বাসিন্দাও আহত হন।
পশ্চিমবঙ্গে "রাক্ষুসে শাসন" চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,বললেন জিভিএল নরসিমা রাও
পাশাপাশি দেবক এলাকায় অবৈধ বাজি কারখানায় হওয়া বিস্ফোরণ সম্পর্কে তিনি বলেন "জানা যাচ্ছে যে এই বাজি কারখানার কোনও লাইসেন্স ছিল না। কোনও লাইসেন্স ছাড়া কীভাবে এমন কারখানা চালানো যায়? এই জাতীয় ক্ষেত্রে যাঁরা লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি পরিচালনা করেন এবং যাঁরা এই ধরণের অবৈধ কারখানা চালাচ্ছিলেন দু'পক্ষই সমানভাবে দায়ী। বিস্ফোরণে নিরীহ মানুষ মারা গেছে। এর বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন", বলেন রাজ্যপাল।
এদিকে, শুক্রবার বিশেষ টাস্ক ফোর্সের আইজি অজয় নন্দা এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ সুপার মনোজ ভার্মা রামঘাটে বিস্ফোরণস্থলটি পরিদর্শন করেন। শুক্রবার রাজ্যের গোয়েন্দা দল সিআইডির বোমা সনাক্তকরণের একটি দলও সেখানে যায়। জানা গেছে আজ (শনিবার) ফরেনসিক দলের উর্ধ্বতন কর্তারা বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)