Mamata Banerjee-র বাড়ির কালীপুজোয় অংশ নেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর
কলকাতা: ক্রমশই যখন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, ঠিক সেই সময় যেন রাজনীতির আঙিনায় সৌহার্দ্যের বন্ধন তৈরি করে দিল উৎসব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোয় সস্ত্রীক অংশ নিলেন রাজ্যপাল। কালীপুজো উপলক্ষে রাজ্যপাল (West Bengal governor) জগদীপ ধনকরকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee) এবং সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করে ধনকর কালীঘাটে গেলে তাঁকে (Jagdeep Dhankhar) আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান মমতা। সস্ত্রীক রাজ্যপালকে মিষ্টিমুখও করান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল ও তাঁর স্ত্রী সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান, তাঁদের নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে একেবারে ঘরোয়া ভাবে তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বেশ কিছুটা সময় কাটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
এই মাসের শুরুর দিকে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল, সেই ঘটনার পর এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন তিনি । কার্নিভালের ঘটনাকে তাঁর জীবনের অন্যতম "বেদনাদায়ক" মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন জগদীপ ধনকর।
কথা রেখে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোয় সস্ত্রীক রাজ্যপাল
কালীপুজোর সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, সস্ত্রীক রাজ্যপালের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের উপর হেনস্থার কথা কানে গেলে সেখানে ছুটে যান রাজ্যপাল। আর এই ঘটনার পরেই জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় রাজ্য সরকারের। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজনীতি করছেন বলে তাঁকে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
মনে হচ্ছে বাংলায় কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর খবর অনুযায়ী, কালীপুজোর রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আড্ডা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী ধনকরকে বলেন যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও এলকে আদবানীর মতো বিজেপি নেতারাও একসময় তাঁর বাড়িতে এসেছেন।
পরে রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ১৯৭৮ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কালীপুজোর আয়োজন করে আসছেন তাতে অংশ নিতে পেরে তিনি নিজেকে "অত্যন্ত আশীর্বাদধন্য" মনে করছেন।
"আমি এবং আমার স্ত্রী ... ওই পুজোয় অংশ নিতে গিয়েছিলাম এবং আমরা সেখানে দুই ঘণ্টা ছিলাম। আমাদের ভালো সময় কেটেছে সেখানে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর নিজের ঘরে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছি ... আমরা আশীর্বাদধন্য মনে করছি ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এমন একটি পুজোয় অংশ নিতে পেরে... তিনি আমাদের ঘরে তৈরি খুব ভাল মিষ্টি খাইয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও অনেক মিষ্টিও পাঠিয়ে দিয়েছেন", বলেন ধনকর।