সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র (Citizenship Amendment Act) বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের দাবি করে দেওয়া নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চিঠি লিখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) প্রতি এমন আবেদনই রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় । তাঁর এই বক্তব্য ভারতীয় "সংবিধান ও দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর অবর্ণনীয় ক্ষতি" করতে পারে, এই কথায় নিজের চিঠিতে লেখেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। তিনি বলেন, "আপনি যে পদমর্যাদায় রয়েছেন, সেই জায়গায় বসে আপনি যে ধরণের কথা বলেছেন তা একেবারেই ঠিক নয়, আমি এই বক্তব্যকে অসাংবিধানিক বলে মনে করি।" জগদীপ ধনখড় আরও বলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বক্তব্যের পরেই বহু মানুষ তাঁর প্রস্তাব নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
"এই বক্তব্যের ফলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশ তথা রাজ্যকে রক্ষার জন্য, আমি আপনাকে জনসমক্ষে আপনার এই বিবৃতি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাতে বাধ্য হলাম। জনজীবনের প্রতি আপনার বিপুল অভিজ্ঞতা থেকে আপনি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে সম্মত হবেন যে, আমাদের জাতীয়তাবাদের সঙ্গে আমাদের কখনওই আপোষ করা উচিত নয়", চিঠিতে লেখেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে "জনগণের কণ্ঠস্বর উপেক্ষা করবেন না", বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এর আগে বৃহস্পতিবারই নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নজরদারিতে গণভোটের প্রস্তাব দেন তিনি। শহরে বিশাল জনসভায় তিনি বলেন, “যদি বিজেপির সাহস থাকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নজরদারিতে গণভোট করুক”।
যদিও এরপরেই শুক্রবার নিজের বক্তব্য থেকে সরে যান তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি গণভোট বলিনি। আমি গণনা ভোটের কথা বলেছি। আমি বলতে চেয়েছি যে মানবাধিকার কমিশনের মতো বিশেষজ্ঞদের পরিচালনায় একটি মতামত সমীক্ষা চালানো হোক। এই দেশ ও জনগণের প্রতি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। আমি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-নিয়ে একটি মতামত সমীক্ষা চাই।"'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লক্ষ্য করে বলেন, "আসুন আমরা একটি ভোট নিই। আপনারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় আপনারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন না। আপনারা সমাজের সমস্ত স্তরকে সন্ত্রস্ত করে রেখেছেন, সব জায়গায় ভয় ছড়িয়েছেন।"
দেখে নিন এই ভিডিও: